শেষের গোলটি করে দলের জয়ে সরাসরি অবদান রাখার পাশাপাশি একটি রেকর্ডও গড়েছেন রোনালদো। ক্লাব ও জাতীয় দলের হয়ে অফিসিয়াল গোলের হিসেবে তিনিই এখন সর্বোচ্চ গোলদাতা। তবে এককভাবে নন। মূলত তিনি ভাগ বসিয়েছেন জোসেফ বিকানের রেকর্ডে।
সবশেষ ম্যাচে এসি মিলানের বিপক্ষে জোড়া গোল করে ব্রাজিলিয়ান কিংবদন্তির করা ৭৫৭ গোলের রেকর্ড ভেঙে দিয়েছিলেন রোনালদো। কিন্তু তখন জানা যায়, অফিসিয়াল গোলের হিসেবে সবার চেয়ে এগিয়ে তৎকালীন চেকোস্লোভিয়ার ফরোয়ার্ড জোসেফ বিকান। তার গোল ৭৫৯টি।
ফলে রেকর্ডের জন্য আরও এক ম্যাচ বেশি খেলতে হলো রোনালদোকে। সাসৌলোর বিপক্ষে ম্যাচের নির্ধারিত ৯০ মিনিট শেষে অতিরিক্ত যোগ করা সময়ের দ্বিতীয় মিনিটে গোল করেছেন তিনি। যা ক্লাব ক্যারিয়ারে রোনালদো ৬৫৭তম গোল। এছাড়া জাতীয় দলের জার্সিতে আছে আরও ১০২টি গোল।
সবমিলিয়ে এখন বিকানের সমান ৭৫৯ গোল রোনালদোর। এ রেকর্ড ছুঁতে রোনালদো খেলেছেন ১০৩৯টি ম্যাচ। আর মাত্র একটি গোল করলেই ফুটবল ইতিহাসে সর্বকালের সর্বোচ্চ গোলদাতা হয়ে যাবেন পর্তুগিজ সুপারস্টার।
রোনালদোর রেকর্ড ছোয়ার রাতে জয়টা সহজ ছিল না জুভেন্টাসের। ঘরের মাঠে খেলা ম্যাচের প্রথমার্ধে গোল পায়নি তারা। প্রথমার্ধের একদম শেষদিকে লাল কার্ড দেখেন সাসৌলোর পেদ্রো অবিয়াঙ। ফলে দ্বিতীয়ার্ধের পুরোটা সময় দশজনের বিপক্ষে খেলার সুবিধা পেয়ে যায় জুভেন্টাস।
দ্বিতীয়ার্ধে ফিরে ম্যাচের ৫০ মিনিটের সময় প্রথম গোল করেন জুভেন্টাসের ব্রাজিলিয়ান ডিফেন্ডার দানিলো। তবে মিনিট আটেক পর সেটি ফিরিয়ে দেয় সাসৌলো, স্কোরশিটে নাম তোলেন গ্রেগইর ডেফরেল। মনে হচ্ছিল ১-১ গোলে ড্রয়ের দিকেই এগুচ্ছে ম্যাচ। কেননা শেষ হয়ে গেছিল ৮০ মিনিট।
তখনই শেষের জাদু দেখায় তুরিনোর বুড়িরা। ম্যাচের ৮২ মিনিটের সময় জুভেন্টাসকে এগিয়ে দেন রামসি। আর অতিরিক্ত যোগ করা সময়ের দ্বিতীয় মিনিটে দলের জয় নিশ্চিত করে দেন রোনালদো।
এ জয়ের পর পয়েন্ট টেবিলে জুভেন্টাসের অবস্থান চতুর্থ। এ পর্যন্ত খেলা ১৬ ম্যাচে তাদের সংগ্রহ ৩৩ পয়েন্ট। শীর্ষে থাকা এসি মিলান ১৭ ম্যাচে ঝুলিতে পুরেছে ৪০ পয়েন্ট। সাসৌলো ১৭ ম্যাচে ২৯ পয়েন্ট নিয়ে অবস্থান করছে সপ্তম স্থানে।