মঙ্গলবার (১২ জানুয়ারি) যুক্তরাজ্যভিত্তিক সংবাদমাধ্যম রয়টার্সকে মোবাইল ফোনে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে এসব তথ্য জানান বেক্সিমকোর চিফ অপারেটিং অফিসার (সিওও) রাব্বুর রেজার।
বেক্সিমকো ফার্মাসিউটিক্যালসের সিওও বলেন, আগামী মাসেই এ কার্যক্রম শুরু হতে পারে। এতে প্রতি ডোজের দাম পড়বে এক হাজার ১২৫ টাকার (১৩.২৭ ডলার) মতো। ৩০ লাখের মধ্যে এরইমধ্যে ১০ লাখ ডোজের জন্য চুক্তি সম্পন্ন হয়েছে। এখন আরও ২০ লাখ ডোজ সংগ্রহের পরিকল্পনা করছি।
বেক্সিমকো ফার্মাসিউটিক্যালসের সিওও আরও বলেন, সরকারি টিকাদান কর্মসূচির জন্য বেক্সিমকো বছরের প্রথমার্ধে প্রতি মাসে ৫০ লাখ ডোজ টিকা সরবরাহ করবে। সরকারের কাছে ও বাজারে বিক্রির জন্য সিরাম ইনস্টিটিউট এ মাসের শেষ দিকেই টিকা সরবরাহ শুরু করবে। টিকা গ্রহণে ইচ্ছুক ব্যক্তিদের মাঝে বিরতি দিয়ে ভ্যাকসিনটির দুটি ডোজ নিতে হবে।
তিনি আরও বলেন, এর আগে, ২০২০ সালের আগস্টে সম্পাদিত চুক্তি অনুযায়ী বাংলাদেশে সিরাম ইনস্টিটিউটের উৎপাদিত ভ্যাকসিনের ‘এক্সক্লুসিভ ডিস্ট্রিবিউটর’ বেক্সিমকো ফার্মাসিউটিক্যালস। এর বাইরে বায়োলজিক্যাল ই ও ভারত বায়োটেকের মতো ভ্যাকসিন উৎপাদনকারী অন্যান্য ভারতীয় প্রতিষ্ঠানের সঙ্গেও প্রাথমিক আলোচনা হয়েছে। সরকার চাইলে বেক্সিমকো অন্যান্য টিকার বিষয়েও আলোচনা এগিয়ে নেবে।
প্রসঙ্গত, অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকার উদ্ভাবিত করোনা ভ্যাকসিন ভারতে বাজারজাত করছে সিরাম ইনস্টিটিউট। এই ভ্যাকসিনের তিন কোটি ডোজ বাংলাদেশকেও দেয়ার ঘোষণা দিয়েছে তারা। তারা প্রতি ডোজ করোনা ভ্যাকসিনের জন্য বাংলাদেশের কাছ থেকে চার ডলার করে নিচ্ছে। এই দাম ভারতে ভ্যাকসিনটির দামের চেয়ে ৪৭ শতাংশ বেশি বলে জানিয়েছে রয়টার্স।