যাওয়ার আগে বিশ্ববিদ্যালয়ের ট্রেজারার অধ্যাপক ড. বিধান চন্দ্র হালদারকে ভারপ্রাপ্ত উপাচার্য হিসেবে দায়িত্ব দিয়ে একটি নোট রেখে গেছেন বলেও জানা গেছেন।
হঠাৎ গভীর রাতে ক্যাম্পাস ত্যাগ করার বিষয়ে বিধান চন্দ্র বলেন, উপাচার্য স্যারের স্ত্রী অসুস্থ ছিলেন। তার চিকিৎসা প্রয়োজন ছিল। তবে তিনি কবে ফিরে আসবেন এটা ঠিক করে বলা যাচ্ছে না। এছাড়া স্যারের মেয়াদেরও শেষ সময় চলে এসেছে।
বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রে জানা গেছে, উপাচার্য প্রফেসর ড. মু. আবুল কাশেমের মেয়াদ রয়েছে আর মাত্র ১৮ দিন। মেয়াদ পূর্তির এই শেষ সময়ে আবারও উত্তপ্ত হয়ে ওঠে বিশ্ববিদ্যালয়। নেতাকর্মীদের সঙ্গে বৈরী আচরণ, ক্লাস-পরীক্ষা চালুসহ বিভিন্ন দাবি নিয়ে মঙ্গলবার দুপুরে ভিসির বাসভবনের ভেতরে দিনভর অবস্থান নিয়ে বিক্ষোভ করেন বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের একাংশ। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে ঘটনাস্থলে অবস্থান নেয় পুলিশ ও সিভিল প্রশাসন।
পরে ওইদিন সন্ধ্যা ৬টার দিকে উপাচার্যের বাসভবনের দরজায় বসে অবস্থান কর্মসূচি শুরু করে ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা। তাদের দাবি মেনে না নেয়া পর্যন্ত অনড় থাকার ঘোষণা দেন তারা। তারা জানায়- বিভিন্ন দাবিতে উপাচার্যের সঙ্গে কথা বলতে আসলেও বেলা ১১টা থেকে সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত তিনি দেখা করেননি এবং কথাও বলেননি।
এ ব্যাপারে বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার বীর মুক্তিযোদ্ধা অধ্যাপক ডা. মো. ফজলুল হক বলেন, শিক্ষার্থীরা তাদের বিভিন্ন দাবি নিয়ে উপাচার্যের সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে এসেছে। তাদের সঙ্গে আলোচনায় বসেছি। যেহেতু বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা আছে, সুতরাং খুব কম সময়ের মধ্যে নিয়োগপ্রক্রিয়ার কাজ শুরু করা হবে।
তিনি আরও বলেন, সকাল সাড়ে ৮টার সময় উপাচার্য আমাকে ফোনে জানিয়েছেন তার স্ত্রী অসুস্থ হয়ে পড়ায় তিনি ঢাকায় চলে গেছেন। কিন্তু বিষয়টি আমরা কেউ নিশ্চিত নই তিনি কোথায় গেছেন।