বুধবার (১৩ জানুয়ারি) স্থগিতাদেশের চিঠি উভয় স্টক এক্সচেঞ্জের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও প্রধান নিয়ন্ত্রক কর্মকর্তা বরাবর পাঠানো হয়েছে।
এ বিষয়ে অর্থসংবাদকে নিশ্চিত করে বিএসইসির নির্বাহী পরিচালক ও মূখপাত্র মোহাম্মদ রেজাউল করিম বলেন, বিনিয়োগকারীদের স্বার্থে ও বাজার মধ্যস্থতাকারীদের অনুরোধে গতকালকের তদন্তের নির্দেশে স্থগিতাদেশ দিয়েছে কমিশন। এ সংক্রান্ত চিঠি উভয় স্টক এক্সচেঞ্জে পাঠানো হয়েছে।
এর আগে গত মঙ্গলবার (১২ জানুয়ারি) বিএসইসি ৪টি কারনে তালিকাভুক্ত কোম্পানির দর উত্থান-পতনের বিষয়ে উভয় স্টক এক্সচেঞ্জকে তদন্তের নির্দেশ দিয়েছিল বিএসইসি।
গতকালের নির্দেশনা অনুসারে, কোনো শেয়ারের দাম এক মাসের মধ্যে ৫০ শতাংশ বা তার বেশি বাড়লে সেটি খতিয়ে দেখতে পারবে ঢাকা ও চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জ। এক মাসের মধ্যে কোনো কোম্পানির শেয়ার লেনদেনের পরিমাণ আগের ছয় মাসের গড় লেনদেনের চেয়ে পাঁচ গুণের বেশি বাড়লে, তালিকাভুক্ত কোম্পানির বার্ষিক বা প্রান্তিক শেয়ারপ্রতি আয় বা ইপিএসে আগের বছরের একই সময়ের চেয়ে ৫০ শতাংশের বেশি ব্যবধান থাকলে, মূল্য সংবেদনশীল তথ্য বা পিএসআই প্রকাশের আগের ১০ কার্যদিবসে কোনো কোম্পানির দাম ও লেনদেন ৩০ শতাংশের কম-বেশি হলে সেগুলোও খতিয়ে দেখবে স্টক এক্সচেঞ্জ।
বিএসইসি সূত্র জানায়, শুধু শেয়ারদর বৃদ্ধি পেলেই তদন্ত হবেনা, বিনিয়োগকারীদের স্বার্থে শেয়ারদর কমলেও তদন্ত হবে। কিন্তু তদন্ত কি মানদন্ডের উপর ভিত্তি করে হবে, সেটাই নির্ধারণ করে দিয়েছে বিএসইসি।