এই পরিপ্রেক্ষিতে এক প্রেস বিজ্ঞপ্তি দিয়েছে হোয়াটসঅ্যাপ। গণমাধ্যমে পাঠানো ওই বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, ‘নীতির এই হালনাগাদ বন্ধু ও পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে যোগাযোগের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য নয়। এ ক্ষেত্রে আগে যা ছিল, তা-ই থাকবে। পরিবর্তন যেটা এসেছে সেটা ব্যবসায়িক উদ্দেশ্যে ব্যবহারের ক্ষেত্রে, তা–ও আবার ঐচ্ছিক। বরং কীভাবে উপাত্ত সংগ্রহ ও ব্যবহার করা হবে, সে ব্যাপারে আরও স্বচ্ছতা এসেছে।’
বিজ্ঞপ্তিতে আরও জানানো হয়েছে, হোয়াটসঅ্যাপের মাধ্যমে ব্যবহারকারীরা বন্ধু, পরিবার-স্বজন বা সহকর্মীদের সঙ্গে যে ফোনালাপ করেন বা বার্তা বিনিময় করেন, হোয়াটসঅ্যাপ বা ফেসবুক কেউই তা পড়তে বা শুনতে পায় না। ব্যক্তিগত বার্তা আদান-প্রদানের ক্ষেত্রে শুধু প্রাপকই প্রেরকের বার্তা পড়তে পারেন, ইংরেজিতে যাকে বলে এন্ড-টু-এন্ড এনক্রিপশন। নিরাপত্তার এই ব্যবস্থা কখনোই দুর্বল হতে দেওয়া হবে না।
আইফোনের অ্যাপ স্টোর থেকে সিগন্যাল ডাউনলোডের হিড়িক পড়ে যায়। পাশাপাশি আরেক সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম অ্যাপ টেলিগ্রাম ডাউনলোডের হারও বেড়ে যায়।
ব্যবহারকারীদের সবচেয়ে বেশি ভয় তথ্যের গোপনীয়তা নিয়ে।
কিন্তু এই বিজ্ঞপ্তি দিতে হোয়াটসঅ্যাপ কিছুটা দেরিই করে ফেলেছে। তার আগেই যা হওয়ার তা হয়ে গেছে। পরিস্থিতি এমন পর্যায়ে চলে গেলে যে পৃথিবীর শীর্ষ ধনী এলন মাস্ক সোশ্যাল নেটওয়ার্কে পোস্ট দেন, ‘সিগন্যাল ব্যবহার করুন’। সিগন্যাল আরেকটি যোগাযোগমাধ্যম অ্যাপ। তাঁর এই পোস্টের পর সারা বিশ্বে গুগল প্লে স্টোর বা আইফোনের অ্যাপ স্টোর থেকে সিগন্যাল ডাউনলোডের হিড়িক পড়ে যায়। পাশাপাশি আরেক সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম অ্যাপ টেলিগ্রাম ডাউনলোডের হারও বেড়ে যায়।