মোস্তফা জব্বার বলেন, বাংলাদেশে হাতে লেনদেন কমে প্রযুক্তির ব্যবহারের মাধ্যমে ক্যাশলেস সোসাইটির দিকে ধাবিত হচ্ছে। বর্তমান প্রযুক্তির সাথে চতুর্থ শিল্পবিপ্লবের নতুন প্রযুক্তি যুক্ত হবে। তখন প্রযুক্তির বৈষম্য থাকবে না। তৃতীয় শিল্পবিপ্লব পুঁজিবাদের ওপর ভর করে গড়ে উঠেছে বলে মন্তব্য করেন তিনি। মন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশ যে গতিতে এগুচ্ছে পৃথিবীর কারো ক্ষমতা নেই যে পেছনে ফেলবে।
সেমিনারে মূল প্রবন্ধের তথ্যে বলা হয়, ১৯৭৯ সালে ব্রাজিল প্রথম এজেন্ট ব্যাংকিং চালু করে। ধীরে ধীরে এই ব্যবস্থা জনপ্রিয় হয়ে ওঠে। কেনিয়া ২০০৬ সালে মোবাইল ব্যাংকিং চালু করলেও বাংলাদেশে শুরু হয় ২০১১ সালে। ডিজিটাল সিস্টেমে ফান্ড ট্রান্সফারও চালু হয় ২০১১ সালে। বর্তমানে মোবাইল ব্যাংকিং ৪ কোটি গ্রাহক আছে। ৪৮ শতাংশ গ্রাহক বিকাশ, ২১ শতাংশ রকেট, ২৮ শতাংশ গ্রাহক নগদের মাধ্যমে অর্থ লেনদেন করে।
ডিজিটাল আর্থিক সেবা গ্রহণের মাধ্যমে তৃণমূল পর্যায়ে নতুন নতুন ব্যবসায়িক উদ্যোগ গড়ে উঠেছে। তবে গ্রাহকদের নিরাপদ আর্থিক লেনদেনের নিশ্চয়তা দিতে সাইবার নিরাপত্তা জোরদারের ওপর জোর দেন আলোচকরা।
সেমিনারে টেলিটকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক প্রকৌশলীরা শাহাব উদ্দিন, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ক সম্পাদক প্রকৌশলী আবদুস সবুর ও আইইবি'র সদস্যরা।