মঙ্গলবার (১৯ জানুয়ারি) সংসদের একাদশ অধিবেশনে ‘শেখ হাসিনা মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়, খুলনা বিল-২০২১’ বিল উত্থাপন করেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক। পরে সাতদিনের মধ্যে বিলটি পরীক্ষা করে সংসদে প্রতিবেদন দেওয়ার জন্য স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটিতে পাঠানো হয়।
এ বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠিত হলে খুলনা অঞ্চলের মধ্যে যত মেডিকেল কলেজ, নার্সিং ইনস্টিটিউট বা অন্যান্য চিকিৎসা সংক্রান্ত যেসব ইনস্টিটিউট আছে সবই খুলনা শেখ হাসিনা মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে চলে আসবে।
অন্যান্য মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় আইনের সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে নতুন এই আইন করা হচ্ছে। খসড়া আইনে বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপন, এখতিয়ার এবং ক্ষমতার বিষয়ে বর্ণনা করা হয়েছে।
বিলের উদ্দেশ্য ও কারণ সম্পর্কে স্বাস্থ্য মন্ত্রী বলেন, “দেশে চিকিৎসা শাস্ত্রে মানোন্নয়নে উচ্চ শিক্ষা, গবেষণা, আধুনিক জ্ঞান চর্চার ক্ষেত্র সম্প্রসারণের লক্ষ্যে সময়ের প্রয়োজনে এই বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপন কিরা অতি প্রয়োজনীয় ও যুক্তিযুক্ত।”
বিলে পরিদর্শন ও আর্থিক বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের ভূমিকার উল্লেখ রয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয় উপাচার্য, উপ-উপাচার্য, কোষাধ্যক্ষ, রেজিস্ট্রার, পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক ও কর্মচারীদের নিয়োগ প্রক্রিয়া, ক্ষমতা ও দায়িত্বও বর্ণনা করা হয়েছে।
বিশ্ববিদ্যালয় সিন্ডিকেট, অ্যাকাডেমিক কাউন্সিল, অনুষদ, বিভাগ, প্রয়োজনীয় কমিটি ও শৃঙ্খলা বোর্ড গঠন এবং এদের ক্ষমতা ও দায়িত্ব বর্ণনা করা হয়েছে খসড়া আইনে।
রাষ্ট্রপতি হবেন এ বিশ্ববিদ্যালয়ের আচার্য।