বেশ কিছু কারণে এই সিরিজটি বাংলাদেশের জন্য বিশেষ। প্রথমত, এই সিরিজ দিয়েই নিষেধাজ্ঞা কাটিয়ে আবারও আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ফিরছেন বাংলাদেশের পোস্টার বয় সাকিব আল হাসান। ১ বছর নিষেধাজ্ঞা কাটিয়ে ফিরলেও বাংলাদেশের হয়ে মাত্র দুটি সিরিজ মিস করেছেন বর্তমান বিশ্বের অন্যতম সেরা এই অলরাউন্ডার। দ্বিতীয়ত ৯ মাস আগে অধিনায়কত্ব পেলেও এবারই আনুষ্ঠানিক ভাবে নেতৃত্ব দিতে যাচ্ছেন তামিম ইকবাল।
করোনা ভাইরাসের কঠোর প্রটোকলের কারণের এবার ১৮ সদস্যের দল ঘোষণা করেছেন নির্বাচকরা। দলে জায়গা হয়নি সাবেক অধিনায়ক মাশরাফি বিন মুর্তজার। এ ছাড়া ইনজুরির কারণে বাদ পড়েছেন শফিউল ইসলামও। দলে প্রাধান্য দেয়া হয়েছে তরুণ ক্রিকেটারদেরই। প্রথমবারের মতো ওয়ানডে স্কোয়াডে ডাক পেয়েছেন শরিফুল ইসলাম, মেহেদী হাসান এবং হাসান মাহমুদ।
সাম্প্রতিক পারফরম্যান্সে এই তিন তরুণই ছিলেন প্রায় অপ্রতিরোধ্য। শরিফুল মুগ্ধ করেছেন লাইন লেন্থ আর কাটার স্লোয়ার দিয়ে। হাসান মাহমুদের সবচেয়ে বড় শক্তি স্পট বল। মেহেদী হাসান নজর কেড়েছেন আঁটসাঁট স্পিন বোলিংয়ের সঙ্গে পাওয়ার হিটিং দিয়ে। ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে প্রথম ওয়ানডেতে এই তিন তরুণের মধ্যে অন্তত দুজনের অভিষেক হওয়া প্রায় নিশ্চিত।
ম্যাচ মাঠে গড়ানোর দুদিন আগেই টাইগারদের ব্যাটিং লাইন আপ নিয়ে খোলাসা করেছেন বাংলাদেশের প্রধান কোচ রাসেল ডমিঙ্গো। ওপেনিংয়ের সর্বশেষ জিম্বাবুয়ে সিরিজের যথারীতি তামিমের সঙ্গী হিসেবে থাকছেন লিটন দাস। অধিনায়ক তামিমও জানিয়েছেন, এই ম্যাচে তিন নম্বরে ব্যাট করবেন নাজমুল হোসেন শান্ত। তাকে জায়গা দিয়ে পছন্দের তিন নম্বর ছাড়তে হচ্ছে সাকিব আল হাসানকে। চারে মুশফিকুর রহিম আর পাঁচে মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ। সেই সঙ্গে সাত নম্বরে অলরাউন্ডার হিসেবে সৌম্যর খেলা প্রায় নিশ্চিত।
যদিও ম্যাচের আগেরদিন পেসার এবাদত হোসেনের বলে পাওয়া গলার চোট শঙ্কা তৈরি করেছে তার জায়গা নিয়ে। আট নম্বরে থাকবেন পেস বোলিং অলরাউন্ডার মোহাম্মদ সাইফউদ্দিন। এরপর জায়গা পেতে পারেন মেহেদী হাসান। আর পেস ইউনিটে মুস্তাফিজুর রহমানের সঙ্গে থাকতে পারেন শরিফুল ইসলাম বা হাসান মাহমুদের কেউ একজন।