ওয়েস্ট ইন্ডিজের দেওয়া ১২৩ রানের লক্ষ্যে খেলতে নেমে দারুণ শুরু করেছেন বাংলাদেশের দুই ওপেনার তামিম ইকবাল এবং লিটন দাস। পাওয়ার প্লের ১০ ওভারে কোনো উইকেট না হারিয়ে বাংলাদেশ তোলে ৩৯ রান। এরপর দলীয় ৪৭ রানে ১৪ রান করা লিটন দাসকে বোল্ড করে ফেরান আকিল হোসেইন। ওয়ান ডাউনে নামা ১ রান করা নাজমুল হোসেন শান্তকেও ফিরিয়েছেন এই ক্যারিবীয় স্পিনার। তিন শান্ত মিড উইকেট দিয়ে উড়িয়ে মারতে গিয়ে জেসন মোহাম্মদের হাতে ক্যাচ দিয়েছেন।
তামিম জেসনের বলে ব্যক্তিগত ৪৪ রানে স্টাম্পিং হয়ে আউট হয়ে ফেরেন। এই রান করতে তামিম খেলেছেন ৬৯ বল। ১৯ রান করা সাকিবকে বোল্ড করে নিজের তৃতীয় উইকেট তুলে নিয়েছেন এই ক্যারিবীয় স্পিনার। এরপর মুশফিকুর রহিম এবং মাহমুদউল্লাহ মিলে বাংলাদেশের জয় নিশ্চিত করে মাঠ ছাড়েন।
এর আগে এই ম্যাচে টসে জিতে ফিল্ডিংয়ের সিদ্ধান্ত নেন তামিম ইকবাল। বল হাতে নেমে অধিনায়কের সিদ্ধান্তকে সঠিক প্রমাণ করেছে বাংলাদেশের বোলাররা। ইনিংসের শুরুতেই প্রতিপক্ষ শিবিরে জোড়া আঘাত হেনে বাংলাদেশকে শুভসূচনা এনে দেন মুস্তাফিজুর রহমান। সুনীল অ্যামব্রিসকে লেগ বিফোরের ফাঁদে ফেলে বিদায় করেন এই পেসার। খানিক পর গালিতে লিটন দাসের অসাধারণ এক ক্যাচে ফিরে যান জশুয়া ডি সিলভা। ১২ রান করা ম্যাকার্থিকে বোল্ড করেন সাকিব। ১৭ রান করা ক্যারিবিয়ান অধিনায়ক জেসন মোহাম্মদ ফিরে যান এই অলরাউন্ডারের ওভারেই।
এছাড়া বোনারকেও ০ রানে ফেরান এই অলরাউন্ডার। এরপর বোলিংয়ে এসে জোড়া উইকেট নিয়ে অভিষেকেই হ্যাটট্রিকের আশা জাগান হাসান মাহমুদ। তবে তিন উইকেট নিয়েই অভিষেকে আলো ছড়ান তিনি। শেষ ব্যাটসম্যানকে বিদায় করে সাকিব তুলে নেন চতুর্থ উইকেট।