তিনি বুধবার জাতীয় সংসদে বলেন, অর্থনীতি সঠিক পথে আছে, অচিরেই তা ঘুরে দাঁড়াবে।
তিনি বলেন, চলতি অর্থবছর আমাদের সরকারের বর্তমান মেয়াদের তৃতীয় বছর। বছরের প্রথম প্রান্তিকের অগ্রগতির যে চিত্র আমরা দেখলাম তা থেকে নির্দ্বিধায় বলা যায় আমরা সঠিক পথে রয়েছি।
বাজেট বাস্তবায়নের ওপর এক রিপোর্টে তিনি বলেছেন, করোনা মহামারি সত্ত্বেও বিগত ২০১৯-২০ অর্থবছরে আমরা ৫ দশমিক ২৪ শতাংশ হারে প্রবৃদ্ধি অর্জন করতে পেরেছি। সরকারের বাস্তবমুখী ও পর্যাপ্ত প্রণোদনা প্যাকেজগুলো বাস্তবায়নের মাধ্যমে সরকার বর্তমান অর্থবছরে ব্যবসা-বাণিজ্যে গতিসঞ্চার, কর্মসৃজন ও কর্মসুরক্ষা, অভ্যন্তরীণ চাহিদা সৃষ্টি এবং অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ড সচল রাখতে পেরেছে।
অর্থমন্ত্রী বলেন, আমি দৃঢ়ভাবে বলতে চাই যে করোনার প্রাদুর্ভাব অব্যাহত থাকা সত্ত্বেও বর্তমান অর্থবছরের অবশিষ্ট সময়ে অর্থনৈতিক উন্নয়নের চলমান ধারা অব্যাহত রাখা সম্ভবপর হবে। প্রথম প্রান্তিকে সামগ্রিকভাবে সামষ্টিক অর্থনীতির উল্লেখযোগ্য সূচকগুলোর ইতিবাচক অবস্থা, বিশেষ করে জিডিপি’র প্রবৃদ্ধি, মাথাপিছু জাতীয় আয় বৃদ্ধি, রপ্তানিতে প্রবৃদ্ধি, প্রবাস আয়ে উল্লেখযোগ্য প্রবৃদ্ধি, বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ ও মুদ্রা বিনিময় হারের স্থিতিশীলতা এবং মূল্যস্ফীতির নিম্নগতি নির্দেশ করে যে, আমরা কাঙ্খিত লক্ষ্যে পৌঁছানোর দিকে এগিয়ে চলেছি।
তিনি বলেন, কাঙ্খিত গন্তব্যে পৌছানোর ক্ষেত্রে আগামী দিনগুলোতে আমাদের অন্যতম কৌশল হবে করোনার ক্ষতি কাটিয়ে ওঠার লক্ষ্যে শিক্ষা, স্বাস্থ্য ও মানবসম্পদ খাতে সরকারি বিনিয়োগ বৃদ্ধি, বেসরকারি বিনিয়োগে গতি আনা, দারিদ্র্য হ্রাস, রপ্তানি বাণিজ্যের প্রসার, কর ব্যবস্থাপনা ও আর্থিক খাতের সংস্কার।
তিনি আরও বলেন, কোভিড-১৯ বৈশ্বিক মহামারি হতে উত্তরণে সরকার কর্তৃক সময়োপযোগী উদ্যোগ গ্রহণ এবং প্রণোদনা প্যাকেজ বাস্তবায়নের ফলে বাংলাদেশের অর্থনীতি ঘুরে দাঁড়ানোর ইঙ্গিত দিচ্ছে। চলতি অর্থবছরের প্রথম প্রান্তিকে প্রবাস আয়, বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ, ব্যাপক মুদ্রা সরবরাহ, মূল্যস্ফীতি প্রভৃতি মৌলিক সামষ্টিক অর্থনৈতিক সূচকগুলোর অবস্থান বেশ সন্তোষজনক। সার্বিক লেনদেন ভারসাম্যে উদ্বৃত্ত অবস্থা বিরাজ করছে।
অর্থমন্ত্রী মনে করেন, টাকা-ডলার বিনিময় হার স্থিতিশীল অবস্থায় রয়েছে। অন্যদিকে, রপ্তানি ঘুরে দাঁড়াতে শুরু করেছে।