প্রথম ওয়ানডেতে ১৬ রানে জয় আফগানিস্তানের

প্রথম ওয়ানডেতে ১৬ রানে জয় আফগানিস্তানের
আবুধাবিতে সিরিজের প্রথম ওয়ানডেতে ১৬ রানে জিতল আফগানিস্তান। কিন্তু ম্যাচের পরতে পরতে কি রোমাঞ্চ ছড়িয়ে ছিল, সেটা হয়তো স্কোরকার্ড দেখে বোঝা যাবে না। কখনও আয়ারল্যান্ড, কখনও আফগানিস্তান, লড়াইটা চলল দারুণ।

শেষতক একটুখানি এগিয়ে থাকা আফগানরাই শেষ হাসি হাসল। তিন ম্যাচের সিরিজে ১-০ ব্যবধানে এগিয়ে গেল রশিদ খানের দল। এছাড়া ওয়ানডে সুপার লিগে মূল্যবান ১০ পয়েন্টও পেয়েছে তারা।

২৮৮ রানের বড় লক্ষ্য। ৮৮ রানের মধ্যে ৪ উইকেট হারিয়ে ম্যাচ থেকে প্রায় ছিটকেই পড়েছিল আয়ারল্যান্ড। ৪০ বলে ৩৯ রানের ইনিংস খেলা আইরিশ ওপেনার পল স্টার্লিংও ছিলেন এই চারজনের মধ্যে। দল তখন চরম বিপদে।

সেখান থেকে চতুর্থ উইকেটে ৮৬ রানের জুটি কুর্তিস ক্যাম্ফার আর লরকান টাকারের। ক্যাম্ফার ৩৯ রান করতে ফিরলে দলীয় ১৭৪ রানের মাথায় পঞ্চম উইকেট হারায় আইরিশরা।

কিন্তু লরকান টাকার লড়াই বাঁচিয়ে রেখেছিলেন। ৪৮তম ওভার পর্যন্ত বলতে গেলে একাই লড়েছেন। ৯৬ বলে ৩টি করে চার-ছক্কায় তিনি যখন ৮৩ করে রশিদ খানের শিকার হয়েছেন, ১৪ বলে ৩৫ রান দরকার আইরিশদের। কাগজে কলমে তখনও ম্যাচে জেতার সম্ভাবনা ছিল।

কিন্তু ৪৯তম ওভারে গুলবাদিন নাইব খরচ করেন মাত্র ৭ রান। উইকেটে আসা নতুন দুই ব্যাটসম্যান ক্রেইগ ইয়ং আর বেরি ম্যাকার্থি ঠিকভাবে বলই লাগাতে পারছিলেন না। রশিদ খানের ইনিংসের করা শেষ ওভারে ইয়ং একটি ছক্কা হাঁকালেও জয়ের স্বপ্ন আর পূরণ হয়নি আইরিশদের। ৯ উইকেটে ২৭১ রানে থেমেছে তারা।

আফগানিস্তানের পক্ষে বল হাতে সবচেয়ে সফল ছিলেন নাভিন উল হক। ৬৮ রান খরচ করলেও ৩টি উইকেট নেন এই পেসার। ২টি করে উইকেট শিকার দুই স্পিনার রশিদ খান আর মুজিব উর রহমানের।

এর আগে রহমানুল্লাহ গুরবাজের অভিষেক সেঞ্চুরি আর রশিদের ঝড়ো হাফসেঞ্চুরিতে ভর করে ৯ উইকেটে ২৮৭ রানের বড় সংগ্রহই দাঁড় করায় টস জিতে ব্যাটিং বেছে নেয়া আফগানিস্তান। যদিও তারাও এক সময় মহাবিপদে পড়েছিল।

উদ্বোধনী জুটিতে আফগানদের উড়ন্ত সূচনা এনে দিয়েছিলেন দুই ওপেনার গুরবাজ আর জাভেদ আহমেদি। ২২ ওভারের জুটিতে তারা তুলেন ১২০ রান। যে জুটিতে গুরবাজের অবদানই বেশি। ৫৫ বলে ২টি করে চার-ছক্কায় ৩৮ রান করে আহমেদি ফিরলে ভাঙে এই জুটি।

উদ্বোধনী জুটিটি ভাঙেন ম্যাকব্রিন। এরপর একের পর এক ধাক্কা দিতে থাকেন আইরিশ অফস্পিনার। বিনা উইকেটে ১২০ থেকে ৫ উইকেটে ১৬১ রানে পরিণত হয় আফগানিস্তান। এই পাঁচ উইকেটের সব কটিই নেন ম্যাকব্রিন।

উইকেট পতনের সেই ধারা থামেনি আফগানদের। দলীয় ১৯৮ রানের মাথায় আউট হয়ে যান অভিষিক্ত সেঞ্চুরিয়ান গুরবাজও। ১২৭ বলে সমান ১২৭ রান করেন আফগান ওপেনার, যে ইনিংসটি তিনি সাজিয়েছিলেন ৮টি বাউন্ডারি আর ৯টি ছক্কায়।

গুরবাজ ফেরার পর এক পর্যায়ে ২০৮ রান তুলতেই ৭ উইকেট হারায় আফগানিস্তান। মনে হচ্ছিল, ২২০-২৩০ করাই কঠিন হয়ে দাঁড়াবে। সেখান থেকে হাল ধরেন নাজিবুল্লাহ জাদরান। তার ৪৩ বলে ২৯ রানের ইনিংসটি ধীরগতির হলেও দলের বিপদে কাজে এসেছে।

এরপর বাকি কাজটা সেরেছেন অধিনায়ক রশিদ খান। শুরু থেকেই মারমুখী রশিদের ব্যাটে চড়েই শেষ পর্যন্ত বড় সংগ্রহ দাঁড় করিয়েছে আফগানিস্তান। ৩০ বলে তিনি খেলেন ৫৫ রানের ইনিংস, যে ইনিংসে ২টি চারের সঙ্গে ছিল ৫টি ছক্কার মার। শেষতক ইনিংসের ১ বল থাকতে রানআউট হন আফগান অধিনায়ক।

আইরিশ বোলারদের মধ্যে সবচেয়ে সফল ছিলেন ম্যাকব্রিন। ১০ ওভার হাত ঘুরিয়ে মাত্র ২৯ রান খরচায় এই অফস্পিনারের শিকার ৫ উইকেট।

আর্কাইভ থেকে

আরও পড়ুন

পা-বিহীন টিকটিকিসহ শতাধিক নতুন প্রজাতির আবিষ্কারের বছর ২০২৩
গলাব্যথা সারাতে কেন লবণ-পানি পান করবেন
থার্টিফার্স্টে মেট্রোরেলের আশপাশে ফানুস না ওড়ানোর অনুরোধ
মাশরাফির দ্রুততম সেঞ্চুরির রেকর্ড ভাঙলেন সোহান
ঢাবির অধীনে এডুকেশন ইঞ্জিনিয়ারিং কোর্সে ভর্তির সুযোগ
আজ পীরগঞ্জ যাচ্ছেন শেখ হাসিনা
প্রকৃতি ও সংস্কৃতির সমন্বয়ে পরিবেশবান্ধব বাংলাদেশ গড়তে হবে
দুই বাংলাদেশির মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করলো সৌদি
প্রথম দিনেই ‘সালার’ আয় ১৭৫ কোটি
টানা তিন বছর মুনাফা না থাকলে ব্যাংকাস্যুরেন্স সেবা নয়