মঙ্গলবার (২৬ জানুয়ারি) আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদফতর (আইএসপিআর) থেকে পাঠানো সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে, সোমবার রাতে ঢাকার সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে তিনি মারা যান।
তিনি দীর্ঘদিন ধরে উচ্চ রক্তচাপ ও ডায়াবেটিসে ভুগছিলেন। তিনি ১৯৭২ সাল থেকে ১৯৭৩ সাল পর্যন্ত নৌপ্রধানের দায়িত্ব পালন করেন।
এদিকে, তার মৃত্যুতে স্বজনসহ নৌবাহিনীর সর্বস্তরের সদস্যরা গভীর শোক প্রকাশ করেছেন। মঙ্গলবার (২৬ জানুয়ারি) বাদ যোহর নৌ সদর দপ্তর মসজিদে তার জানাজা হবে। জানাজা শেষে মরদেহ যথাযথ স্বাস্থ্যবিধি মেনে বনানী সামরিক কবরস্থানে দাফন করা হবে।
ক্যাপ্টেন নুরুল হক তার সুদীর্ঘ চাকরি জীবনে বিভিন্ন জাহাজ/ঘাঁটিতে গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব পালন করেন। তিনি তৎকালীন পাকিস্তান নৌবাহিনীর যুদ্ধজাহাজে সিনিয়র ইঞ্জিনিয়ার অফিসার, ডেসট্রয়ার জাহাজে ইঞ্জিনিয়ার অফিসার, ঘাঁটির ইঞ্জিনিয়ার অফিসার এবং ট্রেনিং স্কুলে স্টাফ অফিসার হিসেবে কর্মরত ছিলেন। তিনি বিআইডব্লিউটিএ চেয়ারম্যান এবং পরবর্তীতে বাংলাদেশ নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের কেবিনেট মিনিস্টার হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। তিনি ১৯৭২ সালে তৎকালীন পাকিস্তান থেকে প্রত্যাবর্তন করে বাংলাদেশের প্রথম নৌবাহিনী প্রধান হিসেবে ১৯৭২ সালের ৭ এপ্রিল থেকে ৬ নভেম্বর ১৯৭৩ সাল পর্যন্ত দায়িত্ব পালন করেন। ক্যাপ্টেন নুরুল হক বৃটেনের রয়েল নেভাল ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজ থেকে ১৯৫৮ সালে বেসিক ইঞ্জিনিয়ারিং কোর্স এবং ১৯৬১ সালে মেরিন ইঞ্জিনিয়ারিং স্পেশালাইজেশন কোর্স সম্পন্ন করেন।
ক্যাপ্টেন নুরুল হক ঢাকার এক সম্ভ্রান্ত মুসলিম পরিবারে ১২ জানুয়ারি ১৯৩৬ সালে জন্মগ্রহণ করেন। তিনি ১ মে ১৯৫৩ সালে কোয়েটায় প্রি-ক্যাডেট ট্রেনিং স্কুলে ক্যাডেট হিসেবে যোগদান করেন। পরবর্তীতে অক্টোবর ১৯৫৩ সালে পাকিস্তান নেভী ক্যাডেট ট্রেনিং স্কুলে যোগ দেন। তিনি ১৯৫৪ সালের সেপ্টেম্বরে বৃটেনের ব্রিটানিয়া রয়েল নেভাল কলেজ, ডর্থ মাউথে অবস্থিত ‘ট্রাম্প’ এবং ‘ঈগল’ জাহাজ থেকে পেশাগত প্রশিক্ষণ সম্পন্ন করেন। ক্যাপ্টেন নুরুল হক ১ জানুয়ারি ১৯৫৭ সালে বৃটেন থেকে কমিশন লাভ করেন।