বিক্ষোভে উত্তাল পোল্যান্ডের রাজধানী ওয়ারশসহ অন্যান্য শহর। দ্যা নিউ ইয়র্ক টাইমসের প্রতিবেদনে জানা যায়, বিক্ষোভকারীদের দাবি গর্ভপাতের সিদ্ধান্ত ব্যক্তিগত হওয়া উচিত। কোনোভাবেই রাষ্ট্র এতে হস্তক্ষেপ করতে পারে না। কোনো দম্পতি বা বাবা-মা যদি গর্ভপাত করাতে চান, তবে সেই অধিকার তাদের থাকা উচিত।
এদিন প্রতিবাদকারীরা শ্লোগান তোলেন, ‘আই থিংক, আই ফিল, আই ডিসাইড’। অর্থাৎ আমি ভাববো, আমি অনুভব করবো, আমিই সিদ্ধান্ত নেব। তবে এই বিক্ষোভের পর কিছুটা নরম হয়েছে সে দেশের সরকার। সরকারের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, গর্ভস্থ ভ্রূণ যদি অসুস্থ হয়, তবে গর্ভপাত করানো অসাংবিধানিক। সেক্ষেত্রে মায়ের প্রাণ সংশয়কে গুরুত্ব দিতে হবে ও পরিস্থিতি বিচার করতে হবে।
সরকারের এই আইনের প্রতিবাদে অনেক নারী বিক্ষোভে যোগ দিয়েছেন। রাজধানীর কনস্টিটিউশনাল কোর্টের সামনে প্রতিবাদ জানান নারীরা।পোল্যান্ডের মানবাধিকার কমিশনও গর্ভপাত আইনের বিরোধিতা করেছে। তাদের মতে, সরকার নারীবিরোধী। এটা এক ধরনের অত্যাচার।
বুধবার (২৭ জানুয়ারি) ওয়ারশর রাস্তায় প্রতিবাদে নামেন নারীরা। লাল মশাল হাতে প্রতিবাদ শুরু করেন তারা। তাদের দাবি, নারীদের অবদমন করার জন্যই সরকারের এই সিদ্ধান্ত। পোল্যান্ডের বিরোধী দলগুলিও সরকারের এই সিদ্ধান্তের তীব্র প্রতিবাদ জানিয়েছে। বাম দলের নেত্রী ওয়ান্ডা নোওইকা জানান, নারীদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করেছে রাষ্ট্র। কোনোদিন সেই যুদ্ধে জিততে পারবে না সরকার।