শিক্ষার্থীদের দাবি, আয়তনে দেশের সবচেয়ে বড় ক্যাম্পাস হয়েও পর্যাপ্ত আবাসিক সুবিধা না থাকায় বিভিন্ন সুযোগ-সুবিধা থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন তারা। ক্যাম্পাস্থ মেসগুলোতে স্বাস্থ্যসম্মত পরিবেশ খুবই দুর্লভ। অনেক ঝামেলাও পোহাতে হচ্ছে প্রতিনিয়ত।
ইউজিসির প্রতিবেদন অনুযায়ী, চবির মোট ২২ হাজার ৯০২ শিক্ষার্থীর বিপরীতে ১২টি আবাসিক হলে আসন রয়েছে চার হাজার ৯০০টি। যা মোট শিক্ষার্থীর মাত্র ২১ দশমিক ৪০ শতাংশ।
আবাসিক শিক্ষার্থীদের মধ্যে ছাত্র রয়েছে দুই হাজার ৬৯৬ জন ও ছাত্রী রয়েছে দুই হাজার ২০৪ জন।
অপরদিকে, ৪৬টি পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের মধ্যে শতভাগ আবাসন সুবিধা রয়েছে বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় ও পটুয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে।
এছাড়া ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ৪৫ শতাংশ, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে ২১ শতাংশ, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে ৭৪ শতাংশ, বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ে ৩৭ শতাংশ, শেরে বাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে ৯৯ শতাংশ, সিলেট কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে ৯৩ শতাংশ শিক্ষার্থীর আবাসন সুবিধা রয়েছে বলে প্রতিবেদনে বলা হয়েছে।
চবির আবাসিক হলগুলোতে সর্বশেষ ২০১৭ সালের জুন মাসে আসন বরাদ্দ দেয়া হয়েছে। বর্তমান উপাচার্য অধ্যাপক ড. শিরীন আখতার দায়িত্ব গ্রহণের পর দুই দফায় আসন বরাদ্দের সাক্ষাৎকারের তারিখ ঘোষণা করা হলেও অজ্ঞাত কারণে তা পিছিয়ে যায়।
হল সূত্রে জানা যায়, চবির ছাত্র হলগুলোর মধ্যে আলাওল হলে আসন রয়েছে ২৬০টি, এ এফ রহমান হলে ২৫৭টি, শাহজালাল হলে ৪৭৫টি, শাহ আমানত হলে ৬৩২টি, সোহরাওয়ার্দী হলে ৩৭৫টি, শহীদ আব্দুর রব হলে ৫০৯টি ও মাস্টারদা সূর্যসেন হলে ১৭৬টি আসন রয়েছে।
ছাত্রী হলগুলোর মধ্যে শামসুন নাহার হলে ৪৮১টি, প্রীতিলতা হলে ৫৩১টি, দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া হলে ৫০৮টি, জননেত্রী শেখ হাসিনা হলে ৭৫০টি (আংশিক নির্মাণাধীন), মাস্টারদা সূর্যসেন হলে (আংশিক) ৩৯টি আসন রয়েছে।
এছাড়া ছাত্রদের জন্য বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হল ও অতীশ দীপঙ্কর হল এবং ছাত্রীদের জন্য বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব হল নির্মাণাধীন রয়েছে।
বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার অধ্যাপক এস এম মনিরুল হাসান বলেন, আবাসিক হল বৃদ্ধির বিষয়টা আমরা পাঁচ বছরের উন্নয়ন প্রকল্প প্রস্তাবনার (ডিপিপি) মধ্যে রেখেছি। ডিপিপির কাজ প্রায় শেষের দিকে। আবেদনের প্রেক্ষিতে সরকার থেকে অনুমোদন পেলে আমরা কাজ শুরু করবো।
তিনি আরো বলেন, আমাদের ৫০ বছরের মাস্টার প্ল্যানও প্রায় শেষ। এর মধ্যে পাঁচ বছরের ডিপিপি প্রণয়ন করা হয়েছে। এখন সরকারের কাছে আবেদন করতে হবে, অনুমোদন পেলে প্রকল্পের কাজ শুরু হবে। নির্দিষ্ট এই প্রক্রিয়ার মাধ্যমে অনুমোদনের জন্য আমাদের অপেক্ষা করতে হবে।