আগের দিন নাসির হোসেন ৩ উইকেট নিয়েছিলেন, আজ (শুক্রবার) কালান্দার্সের বিপক্ষে তিনি এক ওভারেই দিলেন ২১ রান, পাননি উইকেটের দেখা। নাসিরের দল পুনে ডেভিলস হেরেছে ৯ উইকেটের বড় ব্যবধানে।
পরের ম্যাচে মারাঠা অ্যারাবিয়ান্সের হয়ে ব্যাট হাতে অবশ্য ভালোই করেছেন অধিনায়ক মোসাদ্দেক হোসেন। দলের বিপদে হাল ধরে ২২ বলে ৫ বাউন্ডারি আর এক ছক্কায় ৩৫ রানে অপরাজিত থাকেন তিনি।
কিন্তু বাকিদের ব্যর্থতায় পুঁজিটা বড় হয়নি মারাঠার। ৪ উইকেটে তারা থামে ৮৭ রানে। আবুধাবিতে দিল্লি বুলস ম্যাচটি জিতেছে ৯ উইকেট আর ৫ ওভার হাতে রেখে।
মারাঠা অধিনায়ক মোসাদ্দেক ব্যাট হাতে ভরসা দিলেও এরপর বল হাতে নিয়ে বেদম মার খেয়েছেন বাংলাদেশের দুই বোলার- সোহাগ গাজী আর মুক্তার আলি।
সোহাগ গাজী তবু ১ ওভার হাত ঘুরিয়ে ১৫ রান দিয়ে উইকেটশূন্য ছিলেন। মুক্তার তো রীতিমত লজ্জায় ডুবিয়েছেন দলকে। বাংলাদেশি এই পেসার ১ ওভার বল করে দিয়েছেন ৩৩ রান।
দিল্লি ইনিংসের পঞ্চম ওভারে বল করতে এসে পাঁচ-পাঁচটি ছক্কা খেয়েছেন মুক্তার, ওই ওভারেই ম্যাচ হেরেছে মারাঠা। জয়সূচক রানসহ পাঁচটি ছক্কাই হাঁকান এভিন লুইস। ক্যারিবীয় এই ব্যাটসম্যান শেষ পর্যন্ত ১৬ বলে ৫৫ রানে অপরাজিত থাকেন, যে ইনিংসে ছিল ২টি চারের সঙ্গে ৭টি ছক্কা!
মুক্তারের ওভারে প্রথম দুই বলে ছক্কা হাঁকানোর পর তৃতীয় বলে দুই রান নেন লুইস। চতুর্থ আর পঞ্চম বলে ফের টানা দুই ছক্কা। ষষ্ঠ বলটি মুক্তার ওয়াইড করলে আরেকটি ডেলিভারি বাকি থাকে। ওইটিতেও ছক্কা হাঁকিয়ে ম্যাচ শেষ করে দেন লুইস।
আগের দিনই মারাঠার হয়ে সেরা বোলিং করেছিলেন মুক্তার। ২ ওভারে ১৯ রান খরচায় একটি উইকেট নিয়েছিলেন এই পেস বোলিং অলরাউন্ডার। জিতেছিল তার দলও। পরের ম্যাচেই এমন লজ্জায় পড়লেন বাংলাদেশি পেসার।