যুক্তরাষ্ট্র-চীনের বাণিজ্য বিরোধের জেরে একের পর এক নিষেধাজ্ঞা দিয়ে চীনভিত্তিক হুয়াওয়ের প্রবৃদ্ধি ঠেকিয়েছে সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। এরই মধ্যে তীব্র প্রতিযোগিতাপূর্ণ বৈশ্বিক স্মার্টফোন বাজার থেকে ছিটকে পড়েছে প্রতিষ্ঠানটি। ক্ষমতার একেবারে শেষ পর্যায়ে এসে চীনের সামরিক বাহিনীর সঙ্গে সংশ্লিষ্টতার অভিযোগ তুলে আরো আটটি চীনা প্রতিষ্ঠানের পাশাপাশি শাওমি করপোরেশনকে যুক্তরাষ্ট্রে কালো তালিকাভুক্ত করা হয়। শাওমির পক্ষ থেকে ডোনাল্ড ট্রাম্পের সিদ্ধান্তকে ‘অসাংবিধানিক’ দাবি করার পাশাপাশি ক্ষমতার শেষ পর্যায়ে আকস্মিক কালো তালিকাভুক্তির বিষয়টিকে পুনর্বিবেচনার আহ্বান জানানো হয়েছে।
বিশ্বের তৃতীয় বৃহৎ স্মার্টফোন নির্মাতা শাওমি। ডিভাইস বাজারে প্রবেশের পর থেকে নজরকাড়া প্রবৃদ্ধি অর্জন করে আসছে প্রতিষ্ঠানটি। তবে ডোনাল্ড ট্রাম্প প্রশাসনের রোষানলে পড়ে বিশেষ কালো তালিকায় নাম ওঠায় মার্কিন বিনিয়োগকারীদের হারাতে চলেছে শাওমি। একই সঙ্গে নতুন করে প্রতিষ্ঠানটির শেয়ার কিনতে পারবে না মার্কিন কোনো বিনিয়োগ প্রতিষ্ঠান। শুধু তা-ই নয়, শাওমিতে বিনিয়োগ রয়েছে এমন মার্কিন প্রতিষ্ঠানগুলোকে আগামী ১১ নভেম্বরের মধ্যে তহবিল সরিয়ে নিতে নির্দেশ দেয়া হয়েছে।
রয়টার্সের প্রতিবেদন অনুযায়ী, যুক্তরাষ্ট্রে কালো তালিকাভুক্তির খবর প্রকাশের পর পরই ১০ হাজার কোটি ডলার বাজারমূল্য হারায় শাওমি। দুর্ভাগ্যক্রমে অন্যান্য চীনা কোম্পানির মতোই শাওমিসহ নতুন করে কালো তালিকাভুক্ত করা নয়টি চীনা প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে করা অভিযোগের সপক্ষে কোনো তথ্য-প্রমাণ উপস্থাপন করেনি ট্রাম্প প্রশাসন। শাওমির ওপর মার্কিন খড়গ অনেকটা অপ্রত্যাশিত ছিল। কারণ শাওমি স্মার্টফোন এবং ইলেকট্রনিকস নির্মাতা প্রতিষ্ঠান। ট্রাম্প প্রশাসন এর আগে গুরুত্বপূর্ণ শিল্প খাতসংশ্লিষ্ট চীনা প্রতিষ্ঠানগুলোকে নিষিদ্ধ এবং কালো তালিকাভুক্তিতে জোর দিয়ে আসছিলেন। যে কারণে এর আগে বিশ্বের বৃহৎ টেলিকম নেটওয়ার্ক সরঞ্জাম নির্মাতা হুয়াওয়ে এবং সেমিকন্ডাক্টর টেকনোলজি কোম্পানি এসএমআইসিকে যুক্তরাষ্ট্রে নিষিদ্ধ করার পাশাপাশি কালো তালিকাভুক্ত করা হয়। এ নিয়ে শাওমিসহ চীনের ৬০টির বেশি প্রতিষ্ঠানকে যুক্তরাষ্ট্রে কালো তালিকাভুক্ত করা হলো।