ভারত সফরে ইন্দোর আর কলকাতায় দুটি টেস্টে করলেন অধিনায়কত্ব। দুটিতেই হলো ভরাডুবি। এরপর ২০২০ সালের ফেব্রুয়ারিতে পাকিস্তানের বিপক্ষে রাওয়ালপিন্ডি টেস্ট। সেখানেও ইনিংস হার। মুমিনুলের অধিনায়কত্বে বাংলাদেশ যে চারটি টেস্ট খেলেছে, তিনটিতেই হেরেছে ইনিংস ব্যবধানে। গত মার্চে ঘরের মাঠে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে অবশ্য জয় পেয়েছেন মুমিনুল।
করোনার কারণে এরপর আন্তর্জাতিক ক্রিকেট থেকে দূরেই ছিল বাংলাদেশ। প্রায় এক বছর পর বাংলাদেশ যখন আবার ক্রিকেটে ফিরছে, তখন মুমিনুল পাচ্ছে সম্পূর্ণ শক্তির বাংলাদেশ দলকে। যেটি তিনি তাঁর অধিনায়কত্বের শুরুতে পাননি। তামিম ও মুশফিকের সঙ্গে সাকিবের অভিজ্ঞতা মুমিনুলের অধিনায়কত্বে নতুন মাত্রা যোগ করবে নিশ্চয়ই।
মুমিনুল নিজের আক্রমণাত্মক অধিনায়ক হিসেবে ভাবতে পছন্দ করেন। তবে দায়িত্ব নেওয়ার পর আগ্রাসী অধিনায়কত্ব করার সুযোগ তৈরি হয়নি মুমিনুলের। এবার অভিজ্ঞরা দলে থাকাতেই হয়তো মুমিনুলের অধিনায়কত্বের আগ্রাসী দিকটা দেখা যাবে, ‘আমি সব সময় আক্রমণাত্মক অধিনায়কত্ব করতে পছন্দ করি। ম্যাচের অবস্থার কারণে হয়তো অধিনায়কত্ব অন্য রকম লাগতে পারে। কিন্তু আমি সব সময় আগ্রাসী অধিনায়কত্ব করতে পছন্দ করি।’
২০২০ সালটা মুমিনুলের জন্য আক্ষেপ হয়েই থাকবে। গেল বছরে প্রচুর টেস্ট ছিল বাংলাদেশের। মুমিনুলও অধিনায়ক হিসেবে থিতু হওয়ার বড় সুযোগ পেতেন। কিন্তু করোনার কারণে সেটি হয়নি। ঘরের মাঠে অস্ট্রেলিয়া ও নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে টেস্ট স্থগিত হয়ে যায়। পাকিস্তানে একটি আর শ্রীলঙ্কায় আরও দুটি টেস্ট খেলার কথা ছিল বাংলাদেশের। কিন্তু ভেস্তে যায় তা-ও।