এ বিষয়ে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই), চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জ (সিএসই) ও সেন্ট্রাল ডিপোজিটরি অব বাংলাদেশ লিমিটেডের (সিডিবিএল) ব্যবস্থাপনা পরিচালকের কাছে তথ্য চাওয়া হয়েছে।
বুধবার (৩ ফেব্রুয়ারি) বিএসইসি থেকে এ সংক্রান্ত একটি চিঠি পাঠানো হয়েছে।
চিঠিতে আগামী পাঁচ কার্যদিবসের মধ্যে শেয়ারধারণে ব্যর্থ উদ্যোক্তা বা পরিচালকদের হালনাগাদ তথ্য কমিশনে জমা দিতে বলা হয়েছে। একইসঙ্গে ব্যর্থ কোম্পানিগুলো নিয়ে তাদের নিজস্ব তদারকির কোনো তথ্য থাকলে, তাও দিতে বলা হয়েছে।
এদিকে, চিঠিতে কমিশনের ২০২০ সালের ১০ ডিসেম্বর জারিকৃত নির্দেশনার বিষয়ে হালনাগাদ তথ্য চাওয়া হয়েছে। যে নির্দেশনায় সম্মিলিতভাবে উদ্যোক্তা বা পরিচালকদের ৩০ শতাংশ শেয়ারধারণে ব্যর্থ কোম্পানির পর্ষদ পুনর্গনের প্রক্রিয়ার বিস্তারিত তথ্য জানাতে বলা হয়েছে।
কমিশনের ১০ ডিসেম্বরের ওই নির্দেশনায় বলা হয়েছে, ৩০ শতাংশ শেয়ারধারণে ব্যর্থ কোম্পানির পর্ষদ কমিশনের অনুমোদন সাপেক্ষে অতিরিক্ত ২ জন স্বতন্ত্র পরিচালক নিয়োগ দেবে। যারা ৩০ শতাংশ শেয়ারধারণের বিষয়টি তদারকি করবে এবং পর্ষদে ১ মেয়াদের জন্য থাকবে। আর তদারকির জন্য একটি কমিটি গঠন করবে। এছাড়া, অতিরিক্ত নিয়োগকৃত স্বতন্ত্র পরিচালকেরা প্রতি প্রান্তিকের শেষ হওয়ার ১০ দিনের মধ্যে এ বিষয়ে রিপোর্ট জমা দেবে।
২০১০ সালে পুঁজিবাজারে ধসের পর শৃঙ্খলা ফেরাতে মনোযোগী হয় নিয়ন্ত্রক সংস্থা। পরের বছর নভেম্বর থেকে কোম্পানির উদ্যোক্তা পরিচালকদের মিলিতভাবে কোম্পানির অন্তত ৩০ শতাংশ শেয়ার ধারণ বাধ্যতামূলক করা হয়।
শেয়ারহোল্ডারদের অধিকার নিশ্চিত করার জন্য এ জাতীয় কোম্পানিগুলো কমিশনের নির্দেশনা জারির পরবর্তী ৪৫ কার্যদিবসের মধ্যে সাধারণ মিটিং (এজিএম বা ইজিএম) আয়োজন করবে।