চলতি বছরের জানুয়ারি মাসের ১ থেকে ৩১ তারিখ পর্যন্ত সারাদেশের প্রায় দেড় হাজার ইএফডি মেশিনে কেনাকাটা করে ১১ লাখ ৭৯ হাজার ১১টি কুপন তৈরি হয়। এদের মধ্য থেকে ১০১টি কুপন নির্বাচিত করে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড।
লটারিতে প্রথম পুরস্কার হিসেবে এক লাখ টাকা, ২য় পুরস্কার ৫০ হাজার টাকা, তৃতীয় পুরস্কার ২৫ হাজার টাকা (৫টি কুপন)। এভাবে ১০ হাজার টাকার (৯৪টি কূপন) স্বয়ংক্রিয়ভাবে নির্বাচন করা হয়েছে।
জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের চেয়ারম্যান আবু হেনা মো. রহমাতুল মুনিম লটারি কার্যক্রম পরিচালনা করেন। তিনি বলেন, ‘একটি অনাস্থার জায়গা ছিল দীর্ঘদিন ধরে। জনগণ যে ভ্যাট দিচ্ছেন তার টাকা সরকারি কোষাগারে ঠিকমতো জমা হচ্ছে কি-না। এই অনাস্থা ইএফডি মেশিন আসার পর কেটে গেছে। এই ইএফডি নিয়ে অনেক দূরে যাবো।’
তিনি বলেন, ‘জনগণের কাছে আমাদের অনুরোধ আপনারা ভ্যাট দিন। আমরা আপনাদের ভ্যাট প্রদান সহজ করে দিব। যত বেশি ভ্যাট আসবে, তত বেশি ভ্যাট হার কমাতে পারবো। তত ভ্যাটের লোড কমাতে পারবো। পর্যায়ক্রমে ভ্যাট প্রদানকে কষ্টের বিষয় না করে আনন্দের বিষয় করতে চাই।’
অনুষ্ঠানে বলা হয়, লটারির ড্র ঘোষণার ৩ কর্মদিবসের মধ্যে কুপনের নাম্বার রাজস্ব বোর্ডের ওয়েবসাইট ও জাতীয় দৈনিকে প্রকাশ করা হবে। যাদের কাছে কুপনগুলো আছে, তাদের যেকোনো কমিশনারেটে আগামী ২৮ ফেব্রুয়ারির মধ্যে পুরস্কার প্রাপ্তির আবেদন করতে হবে।
এছাড়া পুরস্কার পেতে কোনো সমস্যা হলে ০১৯৬৩৬৩৬৫৫৪ নাম্বারে যোগাযোগ করতে বলা হয়েছে।
জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের সদস্য (নীরিক্ষা ও গোয়েন্দা) জাকিয়া সুলতানা বলেন, ‘রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় এখন পর্যন্ত এক হাজার ৪৭১টি ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে ইএফডি ও সেলস ডাটা কন্ট্রোলার (এসডিসি) মেশিন বসানো হয়েছে।
>> পুরস্কার পেলো যে ১০১ টি কূপন।