মঙ্গলবার (৯ ফেব্রুয়ারি) দুবাইতে পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) আয়োজিত রোড শো’তে অংশগ্রহণ করে তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি প্রথমেই প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ধন্যবাদ জানান। যার উদ্যোগে প্রবাসীদের রেমিটেন্সের উপর ২ শতাংশ হারে প্রণোদনা দেওয়া হয়েছে। তাছাড়া প্রবাসী বাংলাদেশি ব্যাবসায়ীদের এনআরবিসি সিআইপি মর্যাদা দেওয়া হয়েছে। ফলে ব্যবসায়ীরা দারুণ উৎসাহ পেয়েছে। এ পর্যন্ত সারা বিশ্বে ১৫০ জন ব্যবসায়ীকে এনআরবি সিআইপি মর্যাদা দেওয়া হয়েছে। এছাড়া করোনাকালে প্রবাসী আসহায়দের খাদ্য সহায়তা সহ নানা ধরণের সহযোগিতা করায় প্রধানমন্ত্রী, বৈদেশিক ও প্রবাসী কর্মসংস্থান মন্ত্রী, পররাষ্ট্রমন্ত্রীসহ সংশ্লিষ্ট সকলকে ধন্যবাদ জানান তিনি।
তিনি বলেন, প্রগতিশীল ও উন্নয়নশীল রাষ্ট্রের মধ্যে বাংলাদেশ একটি সুবিধাজনক অবস্থানে আছে। এর অন্যতম কারণ হচ্ছে অভ্যন্তরীণ জিডিপি ৭০ শতাংশ আবর্তন সহায়ক শক্তি হিসেবে কাজ করছে। বাংলাদেশের রিজার্ভের পরিমাণ ৪১ বিলিয়ান ডলারের উপরে। যা আগামী দশ মাসে আমদানির বিপরীতে নিরাপত্তা প্রদান করবে। রিজার্ভের এই বিশাল ভান্ডার মুদ্রার স্থিতিশীলতা জন্য সহায়ক হিসেবে কাজ করবে।
তিনি আরও বলেন, আমাদের আরেকটি সহয়ক শক্তি হচ্ছে বাংলাদেশি প্রবাসী ভাইদের রেমিটেন্স। দেশের মোট রেমিটেন্স আসে এদের মাধ্যমে। যা আমদানির বিপরীতে প্রেরিত অর্থের নিশ্চয়তা প্রদান করে। বিগত ৫ বছরে বাংলাদেশের ধারাবাহিক জিডিপির প্রবৃদ্ধি ৭ শতাংশের উপরে। গত বছর জিডিপির প্রবৃদ্ধি করোনার প্রভাবে কমে গেছে। তবে করোনা কিছুটা স্বাভাবিক হওয়ায় দেশের অভ্যন্তরীণ উৎপাদন বৃদ্ধি পাওয়ায় আমরা ভালো কিছুর আশা করছি।
এছাড়াও তিনি বলেন, করোনাকালে আমাদের শেয়ারবাজারে গড় দৈনিক লেনদেন অন্যান্য মার্কেটের তুলনায় অনেক কম ছিল। তবে অন্য মার্কেটের তুলনায় আমাদের মার্কেট খুব দ্রুততার সাথে লেনদেন বৃদ্ধিতে ফিরে এসেছে। যা সরকার ও নিয়ন্ত্রক সংস্থার উদ্যোগে সম্ভব হয়েছে। আমরা দেখতে পেরেছি রবি, ওয়ালটন ও মির আখতারের মতো কোম্পানিগুলোকে শেয়ার মার্কেটে নিয়ে আসা হয়েছে।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন ভূমি মন্ত্রী সাইফুজ্জামান চৌধুরী, বিশেষ অতিথি ছিলেন ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী জাহিদ আহসান রাসেল ও সভাপতি ছিলেন বিএসইসি চেয়ারম্যান অধ্যাপক শিবলী রুবাইয়াত উল ইসলাম।