মোট ৫৫টি পৌরসভার মধ্যে ৪৮টিতে আওয়ামী লীগ প্রার্থীরা বেসরকারিভাবে মেয়র নির্বাচিত হয়েছেন।
বিএনপির মাত্র একজন প্রার্থী জয় পেয়েছেন। এছাড়া আওয়ামী লীগের তিন বিদ্রোহী ও এক স্বতন্ত্র প্রার্থী মেয়র নির্বাচিত হয়েছেন। রোববার (১৪ ফেব্রুয়ারি) এসব পৌরসভায় ভোট অনুষ্ঠিত হয়।
এ ধাপে যেসব পৌরসভায় আওয়ামী লীগ প্রার্থীরা জয় পেয়েছেন তারা হলেন- ঠাকুরগাঁও-আঞ্জুমান আরা বেগম, রানীশংকৈল-মো. মেস্তাফিজুর রহমান, পাটগ্রাম-মো. রাশেদুল ইসলাম সুইট, কালাই-মোছা. রাবেয়া সুলতানা, শিবগঞ্জ-সৈয়দ মনিরুল ইসলাম, নওহাটা-মো. হাফিজুর রহমান হাফিজ, তানোর-মো. ইমরুল হক, তাহেরপুর-মো.আবুল কালাম আজাদ ও বড়াইগ্রাম-মো. মাজেদুল বারী নয়ন।
এছাড়া জীবননগর-মো. রফিকুল ইসলাম, আলমডাঙ্গা-হাসান কাদির গনু, চৌগাছা-মো. নুর উদ্দীন আল-মামুন, বাঘারপাড়া-মো. কামরুজ্জামান, বাগেরহাট-খান হাবিবুর রহমান, কলাপাড়া-বিপুল চন্দ্র হাওলাদার, মুলাদী-মো. শফিকউজ্জামান, বানারীপাড়া-সুভাষ চন্দ্র শীল, গোপালপুর-মো. রফিকুল হক ছানা, কালিহাতী-মোহাম্মদ নুরুন্নবী, মেলান্দহ-মো. শফিক জাহেদী রবিন ও শেরপুর-গোলাম মোহাম্মদ কিবরিয়া।
আরও রয়েছেন শ্রীবরদী-মোহাম্মদ আলী লাল মিয়া, ফুলপুর-শশধর সেন, নেত্রকোনা-মো. নজরুল ইসলাম খান, বাজিতপুর-মো. আনোয়ার হোসেন, হোসেনপুর-মো. আ. কাইয়ুম (খোকন), করিমগঞ্জ-মো. মুসলেহ উদ্দিন, মিরকাদিম-আবদুস ছালাম, মাধবদী-মো. মোশাররফ হোসেন, গোয়ালন্দ-নজরুল ইসলাম, নগরকান্দা-নিমাই চন্দ্র সরকার, কানাইঘাট-লুৎফুর রহমান ও চুনারুঘাট-মোহাম্মদ সাইফুল আলম বেসরকারিভাবে মেয়র নির্বাচিত হয়েছেন।
বাকি মেয়ররা হলেন, আখাউড়া- মো. তাকজিল খলিফা, হোমনা-মো. নজরুল ইসলাম, দাউদকান্দি-নাইম ইউসুফ, কচুয়া-মো. নাজমুল আলম, ফরিদগঞ্জ-আবুল খায়ের পাটওয়ারী, চাটখিল-মো. নিজাম উদ্দিন, রামগতি-এম মেজবাহ উদ্দিন, সাতকানিয়া-মোহাম্মদ জোবায়ের (বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায়), পটিয়া-মো.আইয়ুব বাবুল, চন্দনাইশ-মো. মাহাবুবুল আলম, মাটিরাঙ্গা-মো. শামছুল হক, রাঙ্গামাটি-মো. আকবর হোসেন চৌধুরী, বান্দরবান-মোহাম্মদ ইসলাম বেবী, সোনাইমুড়ী-নুরুল হক চৌধুরী ও আক্কেলপুর- শহীদুল আলম চৌধুরী।
নির্বাচনে আওয়ামী লীগের তিনজন বিদ্রোহী প্রার্থী মেয়র নির্বাচিত হয়েছেন তারা হলেন- লালমনিরহাট পৌরসভায় মো. রেজাউল করিম, গোদাগাড়ীতে মো. মনিরুল ইসলাম ও রাজবাড়ীতে মো. আলমগীর শেখ তিতু। সাতক্ষীরা সদর পৌরসভায় বিএনপির মো. তাজকিন আহমেদ ও ত্রিশালে স্বতন্ত্র প্রার্থী এবিএম আনিছুজ্জামান বেসরকারিভাবে মেয়র নির্বাচিত হয়েছেন।
এছাড়া পরশুরাম পৌরসভায় মেয়র, কাউন্সিলর ও সংরক্ষিত কাউন্সিলর পদে সবাই বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জয় পাওয়ায় সেখানে ভোট হয়নি। সেখানেও আওয়ামী লীগের প্রার্থী জয় পান।
এছাড়া কেন্দ্র স্থগিত থাকায় নরসিংদী ও শরীয়তপুরের ডামুড্যা পৌরসভার ফল স্থগিত রয়েছে।
এই নির্বাচনে চট্টগ্রামের পটিয়ায় এক কাউন্সিলর প্রার্থীর ভাই খুন হয়েছেন। এছাড়া বেশ কয়েকটি পৌরসভায় গোলাগুলির ঘটনাও ঘটেছে।
ভোট কেন্দ্র দখল ও সংঘাতের ঘটনায় তিনটি পৌরসভার সাতটি কেন্দ্রের ভোটগ্রহণ স্থগিত করেছেন সংশ্লিষ্ট প্রিজাইডিং কর্মকর্তারা।
বেশ কয়েকটি পৌরসভায় বিএনপির প্রার্থীরা অনিয়মের অভিযোগ তুলে ভোট বর্জন করেন। বাকিগুলোতে সুষ্ঠুভাবে ভোটগ্রহণ সম্পন্ন হয়।