এমন পরিস্থিতিতে আজ বিকেলে ৩টায় কেন্দ্রীয় ব্যাংকের গভর্নর ফজলে কবিরের সঙ্গে বৈঠকে বসার কথা রয়েছে আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোর সংগঠন বাংলাদেশ লিজিং অ্যান্ড ফিন্যান্স কোম্পানিজ অ্যাসোসিয়েশনের (বিএলএফসিএ)।
এর আগে সোমবার অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামালের সঙ্গে বৈঠক করেছেন আর্থিক প্রতিষ্ঠানের এমডিদের প্রতিনিধিরা।
তাদের চলমান দুরবস্থা কাটাতে ১০ হাজার কোটি টাকার পুনঃঅর্থায়ন তহবিল, নগদ জমা সংরক্ষণ সিআরআর এবং এসএলআর এর অনুপাত পরিবর্তন, এনবিএফআইয়ে থাকা তফসিলি ব্যাংকের আমানত আগামী দুই বছর প্রত্যাহার না করা এবং সুদের হার সর্বোচ্চ সাত শতাংশ বেধে দেয়াসহ বেশ কয়েকটি দাবি জানান তারা।
এ সময় অর্থমন্ত্রী বিএলএফসিএ’র দাবিগুলো বিবেচনার আশ্বাস দেন। পাশাপাশি এ বিষয়ে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের সঙ্গে আলোচনা করবেন বলে তিনি জানান।
এদিকে নানা অনিয়মের কারণে আমানতকারীদের আস্থা হারিয়েছে আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলো। ব্যক্তি ও প্রাতিষ্ঠানিক আমানতকারীরা তাদের আমানত তুলে নিচ্ছে। ফলে আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোর আমানতের পরিমাণ কমছে।
দেশে ব্যাংকবহির্ভূত ৩৩টি আর্থিক প্রতিষ্ঠান রয়েছে। এর মধ্যে ৬টির চেয়ারম্যান-এমডিদের অনিয়মের কারণে একেবারে সর্বস্বান্ত।
পিপলস লিজিংয়ের বন্ধের প্রক্রিয়া শুরু করেছে বাংলাদেশ ব্যাংক। ইন্টারন্যাশনাল লিজিং, বিআইএফসি, এফএএস ফাইন্যান্স, রিলায়েন্স ফাইন্যান্স ও ফার্স্ট ফাইন্যান্স বন্ধের উপক্রম।
বিভিন্ন আর্থিক প্রতিষ্ঠানে এমডি হিসেবে দায়িত্বপালন করে দুর্নীতির মাধ্যমে সাড়ে ৩ হাজার কোটি টাকা হাতিয়ে নিয়েছেন প্রশান্ত কুমার হালদার।
২০১৯ সালের সর্বশেষ সেপ্টেম্বরের তথ্যের ভিত্তিতে তৈরি করা প্রতিবেদন অনুযায়ী, এ খাতের ১০ প্রতিষ্ঠান এখন সবচেয়ে নাজুক পরিস্থিতিতে বা ‘রেড জোনে’ রয়েছে। চাপ সহনশীল (স্ট্রেস টেস্টিং) প্রতিবেদনের ভিত্তিতে প্রতিষ্ঠানগুলোকে এই জোনে ফেলেছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক।
দেশে ৩৩টি আর্থিক প্রতিষ্ঠানের মধ্যে চারটি প্রতিষ্ঠান ভালো অবস্থানে রয়েছে। বাকি ২৯টি প্রতিষ্ঠানের অবস্থাই নাজুক।