বুধবার (১৭ ফেব্রুয়ারি) রাতে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
ওই বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, মন্ত্রণালয়ের কারিগরি ও মাদরাসা শিক্ষা বিভাগ এ সিদ্ধান্ত নিয়েছে। স্বাস্থ্যবিধি মানার ক্ষেত্রে শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের অবশ্যই মাস্ক ও স্যানিটাইজার ব্যবহার করতে হবে। এ ছাড়া শারীরিক দূরত্ব বজায় রাখতে হবে।
সর্বোচ্চ ৬০ শতাংশ শিক্ষার্থী হোস্টেলে অবস্থান করতে পারবেন। স্বাস্থ্যবিধি মেনে ছাত্রাবাস-ছাত্রীনিবাসে অবস্থান নেওয়া, খাওয়াদাওয়া করা ও পরীক্ষায় অংশগ্রহণ নিশ্চিত করতে সংশ্লিষ্টদের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
শিক্ষার্থীদের ছাত্রাবাস ও ছাত্রীনিবাসে অবস্থান করাসহ পরীক্ষা অনুষ্ঠানের জন্য একটি কমিটি গঠনের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে পলিটেকনিকগুলোকে। এ ছাড়া কেন্দ্রীয়ভাবে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের কারিগরি ও মাদরাসা শিক্ষা বিভাগ আরেকটি কমিটি গঠন করবে। দুই কমিটি শিক্ষার্থীদের স্বাস্থ্যবিধি মানা হচ্ছে কি না, তা পরিবীক্ষণ করবে। স্বাস্থ্যবিধি নিশ্চিত করতে তারা প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেবে। আর স্বাস্থ্যবিধি মেনে পরীক্ষা অনুষ্ঠানের সুষ্ঠু ব্যবস্থা করা হবে।
এর আগে গত মঙ্গলবার কারিগরি ও মাদরাসা শিক্ষা অধিদপ্তর কারিগরি ও মাদ্রাসা শিক্ষা বিভাগের সচিবের কাছে ছাত্রাবাস ও ছাত্রীনিবাস খুলে দেওয়ার নির্দেশনা চেয়েছিল। এতে বলা হয়, কারিগরি শিক্ষা অধিদপ্তরের আওতাধীন ৩৯টি পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটের মধ্যে ২৫টির ছাত্রাবাস ও ছাত্রীনিবাসের ব্যবস্থা রয়েছে।
চলমান করোনা মহামারির কারণে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকায় ছাত্রাবাস ও ছাত্রীনিবাসও বন্ধ ঘোষণা করা হয়। কিন্তু ২২ ফেব্রুয়ারি থেকে অনুষ্ঠেয় পরীক্ষা চলাকালে আবাসিক ছাত্রছাত্রীদের ছাত্রাবাস ও ছাত্রীনিবাসে থাকার জন্য খুলে দেওয়ার নির্দেশনা চাওয়া হয়। এর পরিপ্রেক্ষিতে দ্রুত ছাত্রাবাস ও ছাত্রীনিবাস খুলে দেওয়ার নির্দেশনা দেওয়া হলো।
করোনার কারণে গত বছরের ১৭ মার্চ থেকে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ রয়েছে। কয়েক ধাপে বাড়ানোর পর ১৪ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত ছুটি ছিলো। সেই ছুটি ২৮ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত বাড়ানো হয়েছে।