শনিবার (২০ ফেব্রুয়ারি) ‘একুশে পদক ২০২১’ প্রদান উপলক্ষে শুক্রবার (১৯ ফেব্রুয়ারি) দেয়া এক বাণীতে তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, ‘মহান ভাষা আন্দোলন আমাদের জাতীয় ইতিহাসে এক অবিস্মরণীয় ঘটনা। ভাষা আন্দোলনের মধ্য দিয়েই বাংলাদেশের স্বাধীনতার বীজ রোপিত হয়েছিল। আমি সশ্রদ্ধচিত্তে স্মরণ করছি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে, যিনি ১৯৪৮ সালে মাতৃভাষার দাবিতে গঠিত ‘সর্বদলীয় রাষ্ট্রভাষা সংগ্রাম পরিষদ’ এর নেতৃত্ব দেন। আমি ১৯৫২ সালের ২১ ফেব্রুয়ারি মহান ভাষা আন্দোলনসহ আমাদের স্বাধীনতা অর্জনের দীর্ঘ সংগ্রামে অমর শহীদদের স্মৃতির প্রতি জানাই গভীর শ্রদ্ধা।’
তিনি আরও বলেন, ‘ভাষা, সাহিত্য, সংস্কৃতি, শিল্প, সমাজ, গণমাধ্যম প্রভৃতি ক্ষেত্রে নিবেদিতপ্রাণ যেসব খ্যাতিমান বিশিষ্ট নাগরিক ‘একুশে পদক ২০২১’ পেয়েছেন তাদের আমি আন্তরিক শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানাচ্ছি।’
এছাড়্ও তিনি বলেন, গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার ভাষা শহীদদের গৌরবদীপ্ত আত্মত্যাগের স্মৃতিবাহী দিবসটি যথাযোগ্য মর্যাদায় উদযাপনের লক্ষ্যে বাংলাদেশের ভাষা, সাহিত্য, সংস্কৃতি ও গণমাধ্যমসহ বিভিন্নক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখা বিশিষ্ট নাগরিকদের প্রতিবছর একুশে পদক প্রদান করে আসছে। সম্মাননাপ্রাপ্ত গুণীজনরা জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তান। তাদের সম্মানিত করার মধ্য দিয়ে দেশে মেধা ও মনন চর্চার ক্ষেত্র আরো সম্প্রসারিত হবে বলে আমি মনে করি। এ বছর যারা একুশে পদক পেলেন, তারাও সেই চেতনা বর্তমান তরুণ প্রজন্মের মধ্যে ছড়িয়ে দিতে কাজ করে যাচ্ছেন। আমি তাদের সৃষ্টিশীল অবদানের প্রতি আন্তরিক শ্রদ্ধা নিবেদন করি। আগামীতে এসব আলোকিত গুণীজন নিজ-নিজ কর্মক্ষেত্রে আরো উৎকর্ষের স্বাক্ষর রাখবেন এ প্রত্যাশা করি।’