বিএসইসি সূত্র জানায়, সিভিল অ্যাভিয়েশন থেকে অভিজ্ঞতাসম্পন্ন ব্যক্তিদেরকে ইউনাইটেড এয়ারের পরিচালনা পর্ষদে যুক্ত করার উদ্যোগ নিয়েছে বিএসইসি। এর ফলে ইউনাইটেড এয়ার সচল হবে এবং বিনিয়োগকারীরা ক্ষতি থেকে রক্ষা পাবে বলে বিএসইসির সংশ্লিষ্ট সূত্র অর্থসংবাদকে জানিয়েছে।
বিএসইসি সূত্র অর্থসংবাদ’কে আরও জানায়, সম্প্রতি পুজিবাজারে তালিকাভুক্ত আরেক কোম্পানি রিংসাইন টেক্সটাইলের পরিচালনা পর্ষদ পুনঃগঠনের পর প্রতিষ্ঠানটির কারখানা চালু হয়েছে। তারই ধারাবাহিকতায় বিনিয়োগকারীদের সার্থ রক্ষায় ইউনাইটেড এয়ারেরও পর্ষদ পুনর্গঠনের উদ্যোগ নেয় বিএসইসি।
তবে এর আগে সম্প্রতি বিএসইসি ইউনাইটেড এয়ারকে মূল বাজার থেকে ওটিসিতে পাঠানোর নির্দেশনা দিয়েছিল ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) এবং চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জকে (সিএসই)। নির্দেশনায় বলা হয়েছে, ইউনাইটেড এয়ারওয়েজ লিমিটেডের শেয়ারটি ঝুঁকিপূর্ণ এবং এই কোম্পানিটির ভিত্তি খুব দুর্বল।
এই কোম্পানি মূল মার্কেটে থাকলে বিনিয়োগকারীদের ক্ষতি হতে পারে। তাই নির্দেশনা পাওয়া মাত্র বুধবার থেকে ইউনাইটেড এয়ারওয়েজ লিমিটেডকে ওভার দ্য কাউন্টার মার্কেটে পাঠাতে হবে।
এদিকে গত পাঁচ বছর ধরে ইউনাইটেড এয়ারওয়েজের বিমান উড্ডয়ন বন্ধ রয়েছে।
২০১০ সালে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত এ কোম্পানির শেয়ার সর্বশেষ লেনদেন হয়েছিল ‘জেড’ ক্যাটাগরিতে এবং শেয়ারদর ছিল ১ টাকা ৮০ পয়সা।
আর্থিক সঙ্কটের কারণে গত পাঁচ বছর ধরে ইউনাইটেড এয়ারওয়েজের বিমান উড্ডয়ন বন্ধ রয়েছে। কোম্পানিটি ২০১২-১৩ অর্থবছরে মুনাফা করেছিল ৫৫ কোটি ৫৬ লাখ টাকা, লভ্যাংশ হিসেবে বিনিয়োগকারীদের প্রতি ১০০ শেয়ারে নতুন ১২টি শেয়ার দিয়েছিল। পরের অর্থবছরে ৫৮ কোটি ৭ লাখ টাকা মুনাফা করে কোম্পানিটি। ২০১৪-১৫ অর্থবছরে মুনাফা করে ১৯ কোটি ৪৩ লাখ টাকা; লভ্যাংশ হিসেবে বিনিয়োগকারীদের প্রতি ১০০ শেয়ারে নতুন ১০টি শেয়ার দিয়েছিল।
পুঁজিবাজারে ইউনাইটেড এয়ারওয়েজের ৮২ কোটি ৮০ লাখ ৯৮ হাজার ৪৮০টি শেয়ার আছে। এর মধ্যে ২ দশমিক ৫০ শতাংশ আছে পরিচালকদের হাতে।
এছাড়া প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীদের হাতে ১১ দশমিক ০৭ শতাংশ এবং সাধারণ বিনিয়োগকারীদের হাতে ৮৬ দশমিক ৪৩ শতাংশ শেয়ার আছে।
ইউনাইটেড এয়ারওয়েজ লিমিটেডের বাজার মূলধন ১৪৯ কোটি ৬ লাখ টাকা। কোম্পানির পরিশোধিত মূলধন ৮২৮ কোটি ৯ লাখ টাকা; রিজার্ভের পরিমাণ ১০ কোটি ৫০ লাখ টাকা।