গত সোমবার (২২ ফেব্রুয়ারি) শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি জানিয়েছেন, আগামী ২৪ মে থেকে বিশ্ববিদ্যালয় খুলে দেয়া হবে। আর এ সিদ্ধান্তের পরিপ্রেক্ষিতে মঙ্গলবার (২৩ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে সাত কলেজের প্রধান সমন্বয়ক ও অধ্যক্ষদের এক সভায় সাত কলেজের সব পরীক্ষা ২৪ মে পর্যন্ত স্থগিত করা হয়। এ সিদ্ধান্তের প্রতিবাদে সন্ধ্যায় তাৎক্ষণিকভাবে নীলক্ষেত মোড় অবরোধ করে বিক্ষোভ শুরু করেন শিক্ষার্থীরা। পরে রাত ১০টার পর তারা সেখান থেকে ফিরে গেলেও আজ সকাল থেকে ফের রাস্তা আটকে বিক্ষোভ শুরু করেন তারা।
এমন পরিস্থিতিতে এক জরুরি বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। ভার্চুয়ালি এ সভায় যুক্ত ছিলেন শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি, শিক্ষা উপমন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল, মাধ্যমিক উচ্চ শিক্ষা বিভাগের সচিব মো. মাহবুব হোসেন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আখতারুজ্জামান, উপ-উপাচার্য (শিক্ষা) ও সাত কলেজের প্রধান সমন্বয়কারী অধ্যাপক এ এস এম মাকসুদ কামাল, সাত কলেজের সমন্বয়কসহ কলেজের অধ্যক্ষরা।
বৈঠক শেষে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের জনসংযোগ কর্মকর্তা এম এ খায়ের জানান, আজ সন্ধ্যা ৬টায় সভা হওয়ার কথা থাকলেও শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের কারণে দুপুরেই শুরু হয়েছে। বৈঠকে শিক্ষার্থীদের দাবি মেনে নেয়া হয়েছে। তবে পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হওয়ার জন্য দুটি শর্ত দিয়েছে শিক্ষামন্ত্রণালয়। শর্তে বলা হয়েছে, পরীক্ষা চলাকালে হোস্টেল খোলা হবে না এবং স্বাস্থ্যবিধি মেনে পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করতে হবে।
এদিকে নতুন সিদ্ধান্তের পর শিক্ষার্থীরাও তাদের আন্দোলন প্রত্যাহার করে নিয়েছেন বলে জানা গেছে।