বৃহস্পতিবার (২৫ ফেব্রুয়ারি) গণমাধ্যমকে জানানো পর্যালোচনায় সংগঠনটি বলেছে, ২০১৯-২০ অর্থবছরের তুলনায় ২০২০-২১ অর্থবছরের সার্বিক অবস্থা অনেকাংশেই ভালো। বিশেষ করে গেল অর্থবছরের মে মাসের শেষ থেকেই অর্থনীতি ঘুরে দাঁড়াতে শুরু করেছে।
এমসিসিআই বলছে, ২০২০-২১ অর্থ বছরের দ্বিতীয় প্রান্তিকে উল্লেখযোগ্য কয়েকটি খাত সামস্টিক সূচকে বেশ সন্তোষজনক অবস্থায় পৌঁছেছে। খাতগুলো হলো- রেমিট্যান্স, বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ, অর্থ সরবরাহ এবং মুদ্রাস্ফীতি। দীর্ঘ সময় ধরে মুদ্রাবিনিময় হার স্থিতিশীল ছিল এবং ব্যালেন্স অব পেমেন্টের ভারসাম্যও ইতিবাচক ছিল।
অনানুষ্ঠানিক শিল্পপ্রতিষ্ঠানগুলো নতুন করে তাদের সেবা এবং অন্যান্য কার্যক্রম শুরু করলেও এখনো উল্লেখযোগ্যভাবে সেগুলো ঘুরে দাঁড়াতে পারেনি বলে পর্যালোচনা প্রতিবেদনে বলা হয়েছে। কারণ হিসেবে প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে, মহামারীর ধাক্কা এখনো এ প্রতিষ্ঠানগুলো পুরোপুরি কাটিয়ে উঠতে পারছে না। এ ক্ষেত্রে তাদের সক্ষমতা এখনো দুর্বল পর্যায়েই রয়ে গেছে। বিশেষ করে রফতানিমুখী পোশাক, চামড়া এবং গৃহস্থালী শিল্পের বাজার, ইস্পাত শিল্প, খাদ্যপ্রক্রিয়াকরণ এবং পরিরবহন খাত এখনো পুরোপুরিভাবে সচল হয়ে ওঠেনি।
এমসিসিআইয়ের প্রতিবেদন মতে, বাংলাদেশের অর্থনীতি এখন কয়েকটি বড় চ্যালেঞ্জ্যের মুখোমুখী দাঁড়িয়ে আছে। এই চ্যালেঞ্জগুলো হলো- ধীর গতির উন্নয়ন কার্যক্রম, ভয়াবহ বেকারত্ব পরিস্থিতি, কম বিনিয়োগ এবং অলস রাজস্ব বৃদ্ধি।
এদিকে বার্ষিক পরিকল্পনা বাস্তবায়নও ধীর গতির উল্লেখ করে ওই প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, পুনরায় প্রতিযোগিতাপূর্ণ বাজার তৈরি করতে সরকারি ও বেসরকারিভাবে বড় ধরনের বিনিয়োগ প্রয়োজন।