বৃহস্পতিবার (২৫ ফেব্রুয়ারি) অনলাইনে শিশুদের ওপর যৌন নির্যাতন প্রতিরোধে পরিস্থিতি বিশ্লেষণ ও আইনি পর্যালোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এ তথ্য জানান তিনি।
অনুষ্ঠানে ডাক ও টেলিযোগাযোগ ডেটা সুরক্ষা ও প্রাইভেসির প্রয়োজনীয়তা তুলে ধরেন মোস্তাফা জব্বার। তিনি বলেন, ‘শিশু-কিশোরদের ডিজিটাল ডিভাইস থেকে দূরে সরিয়ে নয়, বরং প্যারেন্টাইল গাইডলাইন ব্যবহার করে তাদের ডিজিটাল অপরাধ থেকে রক্ষা করা সম্ভব।’
তিনি আরও বলেন, ‘করোনাকালে ডিজিটাল বাংলাদেশের প্রয়োজনীয়তা প্রমাণিত হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার গতিশীল নেতৃত্বে বাংলাদেশ প্রযুক্তিবিশ্বে অনুকরণীয় দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছে। ২০০৮ সালেও দেশে মাত্র ৮ জিবিপিএস ব্যান্ডউডথ ব্যবহার করা হতো। ব্যবহারকারীর সংখ্যা ছিলো মাত্র ৮ লাখ। বর্তমানে ১ হাজার ৮০০ জিবিপিএস ব্যান্ডউইডথ ব্যবহার করা হচ্ছে। ইন্টারনেট ব্যবহারকারীর সংখ্যা ১১ কোটি। গ্রামের ছোট্ট শিশুটিও এখন উচ্চ গতির ইন্টারনেট চায় এবং এটি তার জন্য আবশ্যক।’
অনুষ্ঠানে বক্তারা শিশুদের জন্য ডিজিটাল নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে অভিভাবকদের নজরদারির প্রয়োজনীয়তার ওপর গুরুত্ব আরোপ করেন। অ্যাপের মাধ্যমে কীভাবে শিশুদের সুরক্ষা দেওয়া যায়, তা নিশ্চিত করতে সরকারের সহযোগিতার বিষয়েও আলোকপাত করেন।
আইন ও শালিস কেন্দ্রের কর্মকর্তা মনোয়ার কামালের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে সংসদ সদস্য অ্যারোমা দত্ত, বিটিআরসি‘র ভাইস চেয়ারম্যান শুভ্রত রায় চৌধুরী, স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন ব্রেকিং দি সাইলেন্সের কর্মকর্তা রোকসানা সুলতানা, আইএসপিএবি সভাপতি এমএ হাকিম এবং লালমাটিয়া বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক কামরুজ্জামান প্রমুখ বক্তৃতা করেন।