রোববার (২৮ ফেব্রুয়ারি) রাত সাড়ে আটটার দিকে কোনাবাড়ি বাইমাইল এলাকার স্থানীয় হুমায়ুন মিয়ার কলোনি থেকে আগুনের সূত্রপাত হয়ে পাশের কলোনিগুলোতেও ছড়িয়ে পড়ে।
ফায়ার সার্ভিসের ছয়টি ইউনিটের কর্মীরা প্রায় আড়াই ঘণ্টা চেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আনেন। খবর পেয়ে রাত ১২টার দিকে গাজীপুর সিটি মেয়র অ্যাডভোকেট মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর আলম ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন।
জানা যায়, নগরীর কোনাবাড়ি বাইমাইল এলাকার সফিকুল ইসলামের জমি ভাড়া নিয়ে পাশাপাশি কমপক্ষে ২০টি টিনসেড কলোনি তৈরি করে কয়েকজন ব্যাক্তি। সেখানে ছোট ছোট প্রায় ছয়শ কক্ষ রয়েছে। রাত আটটার দিকে হুমায়ুন কবিরের কলোনি থেকে আগুনের সূত্রপাত হয়ে পাশের আটটি কলোনিতে ছড়িয়ে পড়ে। স্থানীয়রা স্ট্যান্ডার্ড নিটওয়ার কারখানা থেকে পানি এনে আগুন নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করে। এতে ব্যর্থ হয়ে ফায়ার সার্ভিসে খবর দেয়।
গাজীপুর ফায়ার সার্ভিসের উপ-সহকারী পরিচালক আব্দুল হামিদ বলেন, খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে ফায়ার সার্ভিসের ছয়টি ইউনিট আগুন নিয়ন্ত্রণে কাজ করে। এর মধ্যে কাশিমপুর ডিবিএিল একটি, জয়দেবপুরের তিনটি এবং কালিয়াকৈরের দুইটি ইউনিট কাজ করেছে। তাৎক্ষনিকভাবে ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ জানা যায়নি। তদন্ত সাপেক্ষে বলা যাবে।
তিনি আরও বলেন, কলোনির কক্ষগুলোতে সব নিম্ন আয়ের মানুষ বসবাস করতো। আগুনে প্রত্যেকটি কক্ষের সব আসবাবপত্র পুড়ে গেছে। তবে এখনো কোনো হতাহতের খবর পাওয়া যায়নি। ডাম্পিংয়ের কাজ চলছে পরবর্তীতে আরও বিস্তারিত জানা যাবে।