চীন ছাড়িয়ে ইউরোপ, যুক্তরাষ্ট্র ও এশিয়ার বিভিন্ন দেশে ছড়িয়ে পড়ছে ভাইরাস। সংক্রমণ ঠেকাতে এরই মধ্যে চীনের সঙ্গে ফ্লাইট বাতিল করেছে বিশ্বের শতাধিক এয়ারলাইন্স। আরও ৫০টি এয়ারলাইন্স কমিয়েছে ফ্লাইট।
বাংলাদেশে এখন পর্যন্ত কেউ আক্রান্ত না হলেও জাপান, সিঙ্গাপুর, তাইওয়ান, থাইল্যান্ড, ভারত, নেপালহ বিভিন্ন দেশে এ ভাইরাসে আক্রান্ত শনাক্ত হয়েছে। যাত্রী অর্ধেকে নেমে আসায় এশিয়ার বিভিন্ন রুটে ফ্লাইট কমিয়ে দেয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে বাংলাদেশ বিমান। সিঙ্গাপুরে ফ্লাইট কমাচ্ছে সিঙ্গাপুর এয়ারলাইন্স। বাংলাদেশ থেকে চীনে ফ্লাইট বন্ধ করে দিয়েছে চায়না সাউদার্ন। দেশটিতে সরাসরি ফ্লাইট পরিচালনাকারী আরও তিনটি এয়ারলাইন্সও ফ্লাইট কমিয়ে দিয়েছে।
বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোকাব্বির হোসেন সংবাদ মাধ্যমকে বলেন, কাঠমান্ডু, ব্যাংকক ও কুয়ালালামপুরে যাত্রী সংখ্যা উল্লেখযোগ্যভাবে কমে গেছে। যাত্রী সংখ্যা ৫০ শতাংশেরও বেশি কমে যাওয়ায় আমরা ফ্রিকোয়েন্সি কমিয়েছি।
হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের সূত্রে জানা গেছে, প্রতিদিন যেখানে ২৬০টির মতো ফ্লাইট ওঠানামা করত সেখানে ফ্লাইট সংখ্যা কমেছে। এ খাতে সরকারের রাজস্বও কমে গেছে।
করোনা আতঙ্কে অনেক বিদেশি পর্যটক ও বাণিজ্য প্রতিনিধি দল বাংলাদেশে ভ্রমণ বাতিল করায় ক্ষতির মুখে পড়েছে ট্যুর অপারেটররা। প র্যটনের ভরা মৌসুমে ফাঁকা থাকছে অভিজাত হোটেলগুলো।
ট্যুর অপারেটর সূত্রে জানা গেছে, বাংলাদেশে বুকিং করাই ছিল এমন ৮ থেকে ১০ হাজার বিদেশেী পর্যটক আসেনি। করোনার প্রভাবে ৩০ থেকে ৪০ শতাংশ বুকিংও হ্রাস পেয়েছে বলে জানান ট্যুর অপারেটরা। এ খাতে প্রায় ১০০ কোটি টাকার মতো ক্ষতি হবে।
বিদেশি পর্যটকদের আস্থা ফেরাতে সংক্রমণ রোধে সরকারি উদ্যোগগুলো ব্যাপকভাবে প্রচারের আহবান বিশ্লেষকের।