সোমবার (১ মার্চ) জাতীয় বীমা দিবস উপলক্ষে রাজধানীর বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে আয়োজিত অনুষ্ঠানে সভাপতির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, জাতির পিতা আমাদের স্বাধীনতা দিয়েছেন। কিন্তু অর্থনৈতিকভাবে স্বাধীন করে যেতে পারেননি। প্রধানমন্ত্রী আমাদেরকে অর্থনৈতিকভাবে স্বাবলম্বী করার কাজ করে যাচ্ছেন। গত দশ বছরে দেশের অর্থনীতি শক্তিশালী হয়েছে। উন্নত দেশে সব ধরনের সম্পদের বীমা রয়েছে। বাংলাদেশের অর্থনীতিও এগিয়ে যাচ্ছে। অর্থনীতি আরো শক্তিশালী করতে, দেশের সকল সরকারি সম্পদ বীমার আওতায় আনার কাজ করছে বর্তমান সরকার।
তিনি আরও বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী দেশের বীমা খাত উন্নয়নে নানা ভূমিকা পালন করছেন। বর্তমান সরকারের আমলেই বীমা আইন-২০১০ প্রণয়ন করা হয়েছে। বীমা উন্নয়ন ও নিয়ন্ত্রণ কর্তৃপক্ষ গঠন করা হয়েছে। বীমা উন্নয়ন ও নিয়ন্ত্রণ কর্তৃপক্ষ বীমা খাতের উন্নয়নে নানা পদক্ষেপ নিয়েছে। এসব পদক্ষেপ বাস্তবায়নে আরো জোড়ালো ভূমিকা রাখতে হবে।’
এছাড়াও তিনি বলেন, ‘আজ থেকে ৪০ হাজার বছর আগে পৃথিবীর লোক সংখ্যা ছিল ১০ কোটি। এসব মানুষ মধ্যপ্রাচ্যে টাইগ্রিস নদীর এপারে, ওপারে বসবাস শুরু করেন। এসব মানুষ কৃষিনির্ভর ছিলেন। এ সময় ব্যাবিলনে প্রথম বীমার প্রচলন হয়। প্রাকৃতিক দুর্যোগের ক্ষয়ক্ষতি এড়াতে শস্য বীমার প্রচলন করা হয়। আধুনিক বিশ্বে লয়েডস’র মাধ্যমে ইংল্যান্ডে বীমার প্রচলন হয়।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে ভার্চুয়ালি যুক্ত ছিলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এতে অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে বক্তব্য রাখেন আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগের সিনিয়র সচিব মো. আসাদুল ইসলাম এবং বাংলাদেশ ইনস্যুরেন্স অ্যাসোসিয়েশনের (বিআইএ) প্রেসিডেন্ট শেখ কবির হোসেন।
বীমার প্রতি সাধারণ মানুষের আস্থা বাড়াতে বীমা কোম্পানির মালিক ও বীমা পেশাজীবীদের কাজ করার আহ্বান জানান অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল। সেইসঙ্গে অগ্নি বীমার প্রিমিয়াম হার কমানোর পরামর্শ দেন তিনি।