‘এই চার কোটি ডোজ হাতে চলে আসবে বিভিন্ন সময়ে, বিভিন্ন মাসে। সে অনুযায়ী আমরা আমাদের টিকা কার্যক্রম চালাব। এর মধ্যে যদি কোনো পরিবর্তনের প্রয়োজন হয়, তাহলে সে অনুযায়ী ব্যবস্থা নেয়া হবে।’
বুধবার (০৩ মার্চ) সচিবালয়ে টিকা কার্যক্রম নিয়ে এক বৈঠক শেষে তিনি এ কথা জানান।
স্বাস্থ্যমন্ত্রী জানান, জুলাইয়ের পরে ডিসেম্বর পর্যন্ত কীভাবে টিকা কার্যক্রম চালানো হবে, সে বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেয়া হবে।
টিকার জন্য ৪৫ লাখেরও বেশি নিবন্ধন হয়েছে জানিয়ে তিনি বলেন, ৩৩ লাখেরও বেশি মানুষ টিকা নিয়েছে।
তিনি বলেন, ‘আনন্দের বিষয় হলো, যত মানুষকে টিকা দেয়া হয়েছে প্রত্যেকে সুস্থ আছেন। কোনো জায়গায় কোনো অঘটন ঘটেনি।
‘এটা একটা বিরাট অর্জন। আশা করি আগামীতে এ অর্জন আমরা ধরে রাখব।’
সরকার এখন যে টিকা দিচ্ছে এবং ভবিষ্যতে যা দেবে, তা পুরোটাই বিনা মূল্যে থাকবে বলে জানান স্বাস্থ্যমন্ত্রী।
স্কুল, কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক-কর্মচারী এবং আবাসিক ছাত্রদের টিকা দেয়া হবে জানিয়ে তিনি বলেন, ‘বিদেশি যারা দেশে কর্মরত রয়েছেন, তাদেরকেও টিকা দিতে হবে।
‘যারা এখানে বিভিন্ন অ্যাম্বাসিতে কর্মরত আছেন এবং ফরেন মিনিস্ট্রি যখন আমাদের তালিকা দেবে, সে অনুযায়ী টিকা দিব। বিভিন্ন প্রজেক্টে যেসব বিদেশি কাজ করছেন, বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের অধীনে কাজ করছেন, সেই মন্ত্রণালয়গুলো যখন আমাদের তালিকা দিবে, সে তালিকা অনুযায়ী আমরা তাদের টিকা দেয়ার ব্যবস্থা নেব।’
এ ছাড়া পাঁচ তারকা হোটেল এবং কোয়ারেন্টিন হোটেলে কর্মরতদেরও টিকা দেয়ার ব্যবস্থা হাতে নেয়া হচ্ছে বলে জানান স্বাস্থ্যমন্ত্রী।
দেশের সব বন্দরে কর্মরতদের টিকা দেয়া হচ্ছে বলেও জানান তিনি।
বয়সসীমা ৪০ নির্ধারণ করার কারণে দেশের চার কোটি লোককে টিকা দিতে হবে জানিয়ে মন্ত্রী বলেন, ‘যেভাবে ভ্যাক্সিনেশন হচ্ছে, এ পর্যন্ত ভালোই আছে। এই ভালোটা বজায় রাখতে চাই।
‘টিকা যদি আমাদের হাতে বেশি আসে, সব শিডিউল ঠিক থাকে, তাহলে হয়তো বয়সের বিষয়ে চিন্তা করতে পারব।’
তবে নিশ্চিত হয়ে এবং দ্বিতীয় ডোজ হাতে রেখে সব সিদ্ধান্ত নেয়ার কথা জানান তিনি।
কোভ্যাক্সের মাধ্যমে যে ১ কোটি ৯ লাখ টিকা বাংলাদেশ পাবে, সেটা সিরামের টিকা হবে বলেও বৈঠক শেষে জানানো হয়।
বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের টিকা আমদানি নিয়ে সরকারের অবস্থান জানতে চাইলে স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, ‘বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও), এফডিআই, অন্যান্য অনুমোদনকারী সংস্থা এবং আমাদের ড্রাগ অ্যাডমিনিস্ট্রেশন যদি অনুমোদন দেয়, কেউ যদি প্রাইভেট সেক্টর থেকে টিকা আনতে চায়, তাহলে সে তার নিজ খরচে আনবে এবং যারা গ্রহণ করবে তাদেরকে নিজের পয়সায় সেসব টিকা নিতে হবে।’