সূত্র জানায়, বিনিয়োগকারীরা যাতে নগদ লভ্যাংশ পেতে পারে সে বিষয়টির ওপর গুরুত্ব দিয়েছে বিএসইসি। সেদিক বিবেচনা করে কোম্পানিটিকে এ শর্ত দেওয়া হয়েছে। এরই ধারাবাহিকতায় চলতি বছরের ৫ জানুয়ারি বারাকা পতেঙ্গা পাওয়ারের বিডিং অনুমোদনের ক্ষেত্রে ৫ বছর বোনাস লভ্যাংশ না দেওয়ার শর্ত আরোপ করে কমিশন।
এ বিষয়ে বিএসইসির নির্বাহী পরিচালক ও মুখপাত্র মোহাম্মদ রেজাউল করিম সাংবাদিকদের বলেন, ‘ইজেনারেশনকে বোনাস লভ্যাংশ দেওয়ার বিষয়ে শর্ত প্রদান করা হয়েছে।’
তবে ইজেনারেশনের প্রধান অর্থ কর্মকর্তা (সিএফও) মাজহারুল ইসলাম সাংবাদিকদের জানান, ‘বোনাস লভ্যাংশের বিষয়ে বিএসইসির দেওয়া শর্ত কনসেন্ট লেটার না দেখে বলা যাচ্ছে না।’
প্রসঙ্গত, গত বছরের ২১ অক্টোবর বিএসইসির ৭৪৫তম নিয়মিত কমিশন সভায় ইজেনারেশনের আইপিও অনুমোদন দেওয়া হয়। দেশের উভয় শেয়ারবাজারে চলতি বছরের ২৩ ফেব্রুয়ারি থেকে কোম্পানিটির লেনদেন শুরু হয়। বুধবার (৩ মার্চ) কোম্পানিটির সর্বশেষ লেনদেন হয়েছে ৩৫.৯০ টাকায়। ৭৫ কোটি টাকা পরিশোধ মূলধনের কোম্পানির মোট শেয়ার সংখ্যা ৭ কোটি ৫০ লাখ। সর্বশেষ হিসাব বছরের তথ্য অনুযায়ী- কোম্পানিটির উদ্যোক্তা ও পরিচালকদের হাতে ৩৭.৩৯ শতাংশ, প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীদের হাতে ৩৬.৪২ শতাংশ এবং সাধারণ বিনিয়োগকারীদের হাতে ২৬.১৯ শতাংশ শেয়ার রয়েছে।
কোম্পানিটির চলতি হিসাব বছরের ছয় মাসে (জুলাই-ডিসেম্বর, ২০২০) শেয়ারপ্রতি মুনাফা (ইপিএস) হয়েছে ০.৮১ টাকা। আগের বছরের একই সময়ে মুনাফা হয়েছিল ১.০৮ টাকা।
এদিকে ২০২০ সালের ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি সম্পদ (এনএভিপিএস) দাঁড়িয়েছে ২২.৯২ টাকায়।
আইপিওর মাধ্যমে কোম্পানিটি শেয়ারবাজার থেকে ১৫ কোটি টাকা সংগ্রহ করে। সংগ্রহীত অর্থ দিয়ে কোম্পানিটি বাণিজ্যিক স্পেস ক্রয়, ঋণ পরিশোধ, ডিজিটাল হেলথকেয়ার প্লাটফর্ম উন্নয়ন এবং আইপিও খরচ খাতে ব্যয় করবে।