গেল সপ্তাহজুড়ে কোম্পানিটির শেয়ারের দাম কমেছে ১২ দশমিক ৪২ শতাংশ। টাকার অঙ্কে প্রতিটি ইউনিটের দাম কমেছে ৪০০ টাকা ৩০ পয়সা। সপ্তাহের শেষ কার্যদিবস শেষে প্রতিষ্ঠানটির শেয়ার দাম দাঁড়িয়েছে ২ হাজার ৮২২ টাকা ২০ পয়সা, যা আগের সপ্তাহের শেষ কার্যদিবস শেষে ছিল ৩ হাজার ২২২ টাকা ৫০ পয়সা।
শেয়ারের এই দরপতনের কারণ গত ১ মার্চ ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের মাধ্যমে প্রতিষ্ঠানটি ২০২০ সালের ৩১ ডিসেম্বর সমাপ্ত বছরের জন্য পরিচালনা পর্ষদের ঘোষিত লভ্যাংশের তথ্য প্রকাশ করে।
বহুজাতিক এই কোম্পানিটির পরিচালনা পর্ষদ ২০২০ সালের ৩১ ডিসেম্বর সমাপ্ত বছরের জন্য শেয়ারহোল্ডারদের ৪৪০ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ দেয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। ‘গ্লাক্সোস্মিথক্লাইন বা জিএসকে’ থেকে নাম বদল হয়ে ‘ইউনিলিভার কনজ্যুমার কেয়ার’ নাম ধারণের পর এটিই কোম্পানিটির প্রথম লভ্যাংশ সংক্রান্ত সিদ্ধান্ত।
ইউনিলিভারের কাছে শেয়ার বিক্রির আগে গ্লাক্সোস্মিথক্লাইন ২০১৯ সালে বিনিয়োগকারীদের ৫৩০ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ দিয়েছিল। তার আগে ২০১৮ সালে ৫৩০ এবং ২০১৭ সালে ৫৫০ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ দেয় কোম্পানিটি। অর্থাৎ নাম বদলের পর কোম্পানিটির লভ্যাংশের পরিমাণ প্রায় ১০০ শতাংশ কমে গেছে। লভ্যাংশ কমার কারণে ১ মার্চই কোম্পানিটির প্রতিটি শেয়ারের দাম ২৪৩ টাকা ৩০ পয়সা কমে যায়।
অথচ কিছুদিন আগেও মোটা লভ্যাংশ পাওয়ার আশায় এক শ্রেণির বিনিয়োগকারীরা কোম্পানিটির শেয়ার কিনতে ঝাঁপিয়ে পড়ে। এতে দেখতে দেখতে ২ হাজার ৪৬ টাকা থেকে কয়েক দফা দাম বেড়ে কোম্পানিটির প্রতিটি শেয়ারের দাম ৩ হাজার ৮৫৯ টাকা পর্যন্ত উঠে।