পাবলিক ইস্যু রুলস অনুযায়ি, নিলামে অংশগ্রহনকারীদেরকে টাকা অগ্রিম প্রদান করতে হয়। এক্ষেত্রে একজন বিডার যে পরিমাণ দর প্রস্তাব করবেন, সে পরিমাণ অর্থ আগেই ডিএসইর ব্যাংক হিসাবে পে অর্ডারের মাধ্যমে জমা দিতে হয়।
জানা গেছে, ওয়ালটনের নিলামে অংশ নেওয়া কিছু দর প্রস্তাবকারীর টাকা এখনো ডিএসইর ব্যাংক হিসাবে ঢুকেনি। এই সেটেলমেন্ট জটিলতার কারনেই বিডিং শেষেও ওয়ালটনের কাট-অফ প্রাইসের তথ্য প্রকাশ করা হচ্ছে না।
গত সোমবার (২ মার্চ) বিকাল ৫টায় ওয়ালটনের বিডিং শুরু হয়। যা চলে বৃহস্পতিবার (০৫ মার্চ) বিকাল ৫টা পর্যন্ত। এরপরেই বিডিংয়ের তথ্য প্রকাশের জন্য সময় নির্ধারিত ছিল। কিন্তু সেটেলমেন্ট জটিলতার কারনে আগামি সোমবার বিডিংয়ের তথ্য প্রকাশ করা হবে।
এর আগে গত ৭ জানুয়ারি শেয়ারবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) ৭১৪তম সভায় কোম্পানিটির বিডিংয়ের অনুমোদন দেয়া হয়।
ওয়ালটন হাইটেক ইন্ডাস্ট্রিজ বুক বিল্ডিং পদ্ধতিতে প্রাথমিক গণপ্রস্তাবের (আইপিও) মাধ্যমে শেয়ারবাজার থেকে ১০০ কোটি টাকা উত্তোলন করবে। শেয়ারবাজার থেকে অর্থ উত্তোলন করে করে ব্যবসা সম্প্রসারণ, ব্যাংক ঋণ পরিশোধ এবং আইপিও খরচ খাতে ব্যয় করবে।
৩০ জুন ২০১৯ সমাপ্ত আর্থিক বিবরণী অনুযায়ী কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি নিট সম্পদ মূল্য (পুনর্মূল্যায়ন সঞ্চিতিসহ) দাঁড়িয়েছে ২৪৩.১৬ টাকায় এবং শেয়ারপ্রতি নিট সম্পত্তি মূল্য (পুনর্মূল্যায়ন সঞ্চিতি ব্যতিত) দাঁড়িয়েছে ১৩৮.৫৩ টাকায়। বিগত ৫টি আর্থিক বিবরণী অনুযায়ী কর পরবর্তী নিট মুনাফার ভারিত গড় হারে শেয়ার প্রতি মুনাফা হয়েছে ২৮.৪২ টাকা।
কোম্পানির ইস্যু ব্যবস্থাপনার দায়িত্বে নিয়োজিত রয়েছে এএএ ফাইন্যান্স অ্যান্ড ইনভেস্টমেন্ট লিমিটেড।