তিনি বলেন, অ্যাস্ট্রাজেনেকা যে পরিমাণ টিকা ইউরোপীয় ইউনিয়নকে দেবে বলেছিল, বাস্তবে সেই প্রতিশ্রুতি রক্ষা করতে পারেনি। ফলে এবার টিকা দেওয়ার ক্ষেত্রে ইউরোপকে অগ্রাধিকার দিতে হবে। খবর ডয়চে ভেলের
ইতালিতে মার্কিন-সুইস সংস্থা অ্যাস্ট্রাজেনেকার একটি কারখানা আছে। গত সপ্তাহে সেখান থেকে অস্ট্রেলিয়ায় আড়াই লাখ টিকা পাছানো হচ্ছিল। কিন্তু ইতালির সরকার তা আটকে দেয়। ইউরোপীয় আইন অনুযায়ী ইইউ অন্তর্ভূক্ত কোনো দেশ এ কাজ করতে পারে। তবে তার আগে ইইউর কাছ থেকে অনুমতি নিতে হবে। অনুমতি নিয়েই ইতালি ওই কাজ করেছিল।
সোমবার উরসুলা জানিয়েছেন, ইতালি যা করেছে, তাতে কোনো ভুল নেই। প্রয়োজনে ইউরোপীয় ইউনিয়নের অন্য দেশগুলোও একই কাজ করতে পারে।
উরসুলার মতে, এই বছরের প্রথম কোয়ার্টারে অ্যাস্ট্রাজেনেকা মাত্র দশ শতাংশ টিকা দিতে পেরেছে ইইউকে। ইউরোপীয় ইউনিয়নের দাবি, মার্চের মধ্যে ইউরোপকে ১০০ মিলিয়ন টিকা দেয়ার কথা ছিল অ্যাস্ট্রাজেনেকার। কিন্তু বাস্তবে তারা দিতে পেরেছে মাত্র দশ মিলিয়ন। দ্বিতীয় কোয়ার্টারেও তারা মাত্র পঞ্চাশ শতাংশ টিকা দিতে পারবে বলে জানিয়েছে। ইইউর বক্তব্য, এবার অ্যাস্ট্রাজেনেকাকে অগ্রাধিকার দিয়ে ইউরোপীয় ইউনিয়নকে টিকা সরবরাহ করতে হবে।
ইইউর আইন ইতোমধ্যেই ইতালি ছাড়া আরও কোনো দেশ ব্যবহার করেছে কি না, তা নিয়েও প্রশ্ন উঠেছে। যদিও এখনো পর্যন্ত কোনো দেশ তা স্বীকার করেনি। অ্যাস্ট্রাজেনেকাও এ বিষয়ে কোনো মন্তব্য করতে চায়নি।
এতদিন ৬৫ বছরের কম বয়সী মানুষদেরকেই কেবল অ্যাস্ট্রাজেনেকার টিকা দেয়া হচ্ছিল। ইইউ জানিয়েছে, এবার সকলকে ওই টিকা দেয়া যাবে। অ্যাস্ট্রাজেনেকা ছাড়া ফাইজার, মডার্নার টিকাও সেখানে দেয়া হচ্ছে।