পুঁজিবাজারের বিষয়ে বিএসইসিতে বাংলাদেশ ব্যাংকের বৈঠক ১৫ মার্চ

পুঁজিবাজারের বিষয়ে বিএসইসিতে বাংলাদেশ ব্যাংকের বৈঠক ১৫ মার্চ
উভয় নিয়ন্ত্রক সংস্থার মধ্যে সমন্বয়ের জন্য বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) সঙ্গে বাংলাদেশ ব্যাংকের বৈঠক অনুষ্ঠিত হবে। আগামী সোমবার (১৫ মার্চ) রাজধানীর আগারগাঁওয়ে অবস্থিত বিএসইসি ভবনে দুপুর ১২ টায় এ বৈঠক অনুষ্ঠিত হবে।

সম্প্রতি ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানের লভ্যাংশ ঘোষণায় সীমা বেঁধে দিয়ে কেন্দ্রীয় ব্যাংক আদেশ দেওয়ায় পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বিএসইসি’র দায়িত্বশীল ব্যাক্তিবর্গ ক্ষুব্ধ হয়েছে। তারই ধারাবাহিকতায় এ বৈঠক অনুষ্ঠিত হচ্ছে বলে অর্থসংবাদকে বাংলাদেশ ব্যাংক ও বিএসইসি সূত্র এ তথ্য নিশ্চিত করেছে।

সংশ্লিষ্ঠ সূত্র অর্থসংবাদকে জানায়, বিএসইসির সঙ্গে কোন আলোচনা ছাড়াই বাংলাদেশ ব্যাংক সম্প্রতি আর্থিক প্রতিষ্ঠানের নগদ লভ্যাংশের বিষয়ে নতুন নির্দেশনা জারি করে। ফলে পুঁজিবাজারে এর নেতিবাচক প্রভাব পড়ে, এমন কোন বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেয়ার আগে বিএসইসির সঙ্গে বাংলাদেশ ব্যাংকের আলোচনা করার নির্দেশনা থাকলেও সে বিষয়টি মানেনি কেন্দ্রীয় ব্যাংক।

অথচ এ বিষয়ে অর্থ মন্ত্রনালয়ের আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগ থেকে ২০১২ সালের ১৯ ফেব্রুয়ারি একটি সার্কুলার রয়েছে। ফলে বিএসইসির চেয়ারম্যান অধ্যাপক ‍শিবলী রুবাইয়াত উল- ইসলাম কেন্দ্রীয় ব্যাংকের গভর্নরকে বিষয়টি অবহিত করেন। তারই ধারাবাহিকতায় এ বৈঠক অনুষ্ঠিত হচ্ছে। বৈঠকে বাংলাদেশ ব্যাংকের ‍নির্বাহী পরিচালক মাসুদ বিশ্বাস, ডেপুটি জেনারেল ম্যানেজার আমিনুর রহমান ও বিএসইসির কমিশনার, নির্বাহী পরিচালকসহ সংশ্লিষ্ঠরা উপস্থিত থাকবেন বলে সূত্র অর্থসংবাদকে ‍নিশ্চিত করেছেন।

সূত্র জানায়, এ বৈঠকের মাধ্যমে চলমান সমস্যার সমাধানসহ উভয় নিয়ন্ত্রক সংস্থার মধ্যে সমন্বয় সৃষ্টি হবে।

এদিকে গত ২৪ ফেব্রুয়ারি দেশের সব আর্থিক প্রতিষ্ঠানের নগদ লভ্যাংশের হার ১৫ শতাংশের মধ্যে সীমাবদ্ধ রেখে লভ্যাংশ ঘোষণায় নতুন নীতিমালাসংক্রান্ত একটি নির্দেশনা দেয় বাংলাদেশ ব্যাংক। করোনা মহামারি পরিস্থিতি বিবেচনা করে ব্যয় কমানোর পাশাপাশি মূলধনসাশ্রয়ী ও তারল্য সহায়ক লভ্যাংশ ঘোষণা করা হয়েছে বলে জানায় ব্যাংকটি।

প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, যেসব আর্থিক প্রতিষ্ঠান সংরক্ষিত সম্পদ না রেখে বাংলাদেশ ব্যাংক থেকে ঘাটতি সমন্বয়ে ডেফারেল সুবিধা ভোগ করছে, সেসব আর্থিক প্রতিষ্ঠান সম্পূর্ণ সম্পদ সংরক্ষণের পূর্বে কোনো ধরনের নগদ লভ্যাংশ ঘোষণা করবে না। তবে বাংলাদেশ ব্যাংকের পূর্বানুমোদন সাপেক্ষে সর্বোচ্চ ৫ শতাংশ স্টক লভ্যাংশ ঘোষণা করতে পারবে।

এতে আরও বলা হয়, যেসব আর্থিক প্রতিষ্ঠানের শ্রেণীকৃত ঋণের হার ১০ শতাংশের বেশি রয়েছে, সেসব আর্থিক প্রতিষ্ঠান বাংলাদেশ ব্যাংকের পূর্বানুমোদন ব্যতীত কোনো ধরনের লভ্যাংশ ঘোষণা করবে না। এ ছাড়া যেসব আর্থিক প্রতিষ্ঠানের মূলধন পর্যাপ্ততা অনুপাত (সিএআর) ১০ শতাংশের কম এবং শ্রেণিকৃত ঋণের হার ১০ শতাংশের বেশি রয়েছে, সেসব আর্থিক প্রতিষ্ঠান কোনো ধরনের লভ্যাংশ ঘোষণা করতে পারবে না।

সামগ্রিক পরিস্থিতি বিবেচনায় আর্থিক প্রতিষ্ঠানসমূহের নগদ লভ্যাংশের হার ১৫ শতাংশের মধ্যে সীমাবদ্ধ রাখতে হবে বলেও প্রজ্ঞাপনে উল্লেখ করা হয়। প্রজ্ঞাপনে এ নির্দেশনা অবিলম্বে কার্যকর করতে বলা হয়েছ এবং পরবর্তী নির্দেশনা না দেওয়া পর্যন্ত চলমান রাখতে বলা হয়েছে। আর্থিক প্রতিষ্ঠান আইন, ১৯৯৩–এর ১৮ (ছ) ধারায় প্রদত্ত ক্ষমতাবলে এ নির্দেশনা জারি করা হয়েছে।

আর্কাইভ থেকে

আরও পড়ুন

ফু-ওয়াং সিরামিকের লভ্যাংশ অনুমোদন
এক বছরে ডিএসইর বাজার মূলধন বেড়েছে ২০ হাজার কোটি টাকা
ডিএসইতে মোবাইল গ্রাহক-লেনদেন দুটোই কমেছে
বছরজুড়ে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্তির অনুমোদন পেয়েছে ৯ কোম্পানি
পুঁজিবাজারে লেনদেন বন্ধ আজ
বছরের ব্যবধানে পুঁজিবাজারে লেনদেন বেড়েছে ৪০ শতাংশ
রবিবার পুঁজিবাজার বন্ধ থাকলেও চলবে দাপ্তরিক কার্যক্রম
লোকসানে ৮ খাতের বিনিয়োগকারীরা
সাপ্তাহিক রিটার্নে মুনাফায় ১০ খাতের বিনিয়োগকারীরা
খাতভিত্তিক লেনদেনের শীর্ষে প্রকৌশল খাত