আজ বৃহস্পতিবার (১১ মার্চ) বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ এন্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) চেয়ারম্যান প্রফেসর শিবলী রুবাইয়াত-উল-ইসলাম প্রধান অতিথি হিসেবে এ অফিস উদ্বোধন করেছেন।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) চেয়ারম্যান মো. ইউনুসুর রহমান এবং বিশেষ অতিথি ছিলেন সিএসইর চেয়ারম্যান আসিফ ইব্রাহীম। এছাড়া বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ এন্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের কমিশনার খন্দকার কামালুজ্জামান, ড. শেখ শামসুদ্দিন আহমেদ, প্রফেসর ড. মো: মিজানুর রহমান এবং মো: আব্দুল হালিম উপস্থিত ছিলেন।
বিএসইসির চেয়ারম্যন প্রফেসর শিবলী রুবাইয়াত-উল-ইসলাম বলেন, আমাদের অর্থনীতির উন্নয়নে অনেক কিছু করার আছে। আমরা দায়িত্ব নেয়ার পরে চেষ্টা করছি ক্যাপিটাল মার্কেট যেন আামাদের অর্থনীতিতে আরো অবদান রাখতে পারে সে জন্য কি করে নতুন নতুন এভিনিউ খোলা যায়। পুঁজিবাজারের উন্নয়নে বর্তমান কমিশন নিরলসভাবে চেষ্টা করছে। গত বছরের ১৭ মে দায়িত্ব নেওয়ার পর বর্তমান কমিশনের কেউ একদিনের জন্যেও ছুটি নেননি।
ব্যাংকিং খাত সম্পর্কে বিএসইসি চেয়ারম্যান বলেন, মানি মার্কেটে ব্যাপক নন-পারফরমিং লোন রয়েছে। তবে গত ৭-৮ মাসে ব্যাংকিং সেক্টরে যে এক্সপোজার এবং ইরোশন ছিল তা অনেকখানি কমে গেছে । তারা শেষ কোয়ার্টারে বেশ প্রফিট করেছে এবং যে প্রফিট তারা করেছে তাতে তাদের ক্ষতি পুষিয়ে লাভের মুখ দেখছেন। আমি সব ব্যাংকের সাথে নিয়মিত খোঁজখবর রাখি এবং আপনারা যদি খোঁজ নেন দেখবেন তাদের ইনভেস্টমেন্ট, রিটার্ন, প্রফিট গত ৩ মাসে বেশ ভাল হয়েছে। আমরা যদি আরেকটু বেশী কাজ করি, রেগুলেটর, স্টক এক্সচেঞ্জ এবং ইন্টারমিডিয়ারী সবাই মিলে, তাহলে আমরা যে লক্ষ্যে কাজ করে যাচ্ছি তা অর্জিত হবে এবং বছরের শেষে সবাই যারা (ব্যাংক, ইনস্টিটিউশন) ইনভেস্টমেন্ট করেছে তারা লাভবান হবেন।
সিএসইর চেয়ারম্যান আসিফ ইব্রাহিম বলেন, বাংলাদেশের ইকোনমিক ডেবলেপমেন্টে পুঁজিবাজারের বলিষ্ঠ ভূমিকা পালন করা উচিত। শিল্পের অর্থায়নে ব্যাংকের পরিবর্তে পুঁজিবাজারের উপর জোর দেওয়া উচিত। কারণ ব্যবসায় সব সময় অনিশ্চয়তা
থাকে। যে কোনো সময় যে কোনো বৈরী পরিস্থিতি তৈরী হতে পারে। তাতে খেলাপী হয়ে পড়ার আশংকা থাকে। আর একটি প্রতিষ্ঠান খেলাপি হলে গ্রুপের অন্যান্য প্রতিষ্ঠানের উপরও এর প্রভাব পড়ে। পুঁজিবাজার থেকে টাকা উত্তোলন করলে এই ঝুঁকি অনেকটা এড়ানো সম্ভব। তাই ছোট, মাঝারী এবং বড় সব ধরনের কোম্পানীগুলোর জন্যই এই উদ্যোগ নিতে হবে,উৎসাহিত করতে হবে তারাযাতে বাজারে তালিকাভুক্ত হয়।
ডিএসইর চেয়ারম্যান মো: ইউনুসুর রহমান বলেন, ডিএসই এবং সিএসই মোটেও কম্পিটিটর নয় বরং পরিপূরক। যেহেতু নবীন তাই এই স্টক এক্সচেঞ্জকে এগিয়ে নিতে আামাদের সবার সর্বাত্মক সহযোগিতা করা উচিত।
এছাড়া সিএসই এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক মামুন-উর-রশিদ সমাপনী বক্তব্য রাখেন। এ সময় সিএসইর পরিচালনা পর্ষদের সদস্য প্রফেসর এসএম সালামত ঊল্লাহ ভূঁইয়া, এস এম আবু তায়েব, সোহেল মোহাম্মদ শাকুর, মো: লিয়াকত হোসেন চৌধুরী, এফসিএ, এফসিএমএ, ব্যারিষ্টার আনিতা গাজী ইসলাম, সাইদ মোহাম্মদ তানভীর, মো: ছায়েদুর রহমান, মো: সিদ্দিকুর রহমান, মো:মোহাম্মেদ মহিউদ্দিন, এফসিএমএ এবং সিএসসি এর উর্ধ্বতন কর্মকর্তবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।