রাজধানীর বাড্ডায় একটি মাস্কের দোকানে দেখা যায়, মাস্ক কিনতে সাধারণ মানুষের ব্যাপক ভিড়। নিজের ও পরিবারের সদস্যদের জন্য মাস্ক কিনছে সবাই। যে ব্যক্তির ২টি মাস্ক প্রয়োজন, সে কিনছে ১০টি। এতে মাস্কের বাজারে আরও সংকট সৃষ্টি হচ্ছে। এই সুযোগে অতিরিক্ত দামে মাস্ক বিক্রি করছে কিছু অসাধু ব্যবসায়ী। আতঙ্কের কারণে বাধ্য হয়ে বেশি দামেই মাস্ক কিনছেন সাধারণ মানুষ।
জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনের মার্কেটে একেকটি মাস্ক চার থেকে পাঁচগুন দামে বিক্রি হচ্ছে। রাকিব উদ্দিন নামের একজন ক্রেতা বলেন, আজ (গতকাল) বিকেলে আমি একটি মাস্ক ৮০ টাকা দামে কিনেছি। অথচ গতকালও (গত পরশু) এই মাস্কের দাম ছিল ২০ থেকে ৩০ টাকা। করোনাভাইরাস সনাক্তের সংবাদের পর কিছু অসাধু ব্যবসায়ী মাস্কের দাম বাড়িয়ে দিয়েছে।
ফুটপাতের একজন মাস্ক বিক্রেতা বলেন, হঠাৎ মাস্ক বিক্রি বেড়ে গেছে। সবাই তিন-চারটা করে মাস্ক কিনছে। কিছুক্ষণ পর পর মোকাম থেকে মাস্ক নিয়ে আসছি, কয়েক মিনিটের মধ্যেই বিক্রি হয়ে যাচ্ছে।
মারুফ বকুল নামে একজন ক্রেতা বলেন, বাংলাদেশে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত রোগী শনাক্ত হয়েছে- এমন খবর শোনার পর নিরাপদ থাকতে মাস্ক কিনেছি। আগের দামের চেয়ে কয়েকগুন বেশি দামে মাস্ক বিক্রি করছেন ব্যবসায়ীরা। চায়না মাস্ক ১০০ থেকে ১২০ টাকা আর বাংলাদেশি মাস্ক ৫০ থেকে ৮০ টাকায় বিক্রি করছে তারা যা আগের দামের চেয়ে কয়েকগুণ বেশি।
মাস্ক ব্যবসায়ীরা জানিয়েছেন, বাজারের মানসম্মত সব মাস্ক চীন থেকে আমদানি করা হয়। কিন্তু বর্তমানে চীন নিজেদেরই চাহিদা মেটাতে পারছে না। তাই বাংলাদেশে এই মাস্কের আমদানি কমেছে। একই অবস্থা অনলাইনের কেনাকাটার ওয়েবসাইট ও পেজগুলোতে।
রাজধানীর কয়েকটি ফার্মেসি ও অনলাইন শপিং ওয়েবে দেখা গেছে, ডিস্পোজেবল নন-ওভেন ফেব্রিক মাস্ক বিক্রি হচ্ছে ২৫ টাকায়, কটন মাস্ক ১২০ টাকা, স্পঞ্জ অ্যান্টি ডাস্ট মাস্ক ৫০ টাকা, এন-৯৫ (৮২১০) মাস্ক ২৫০ টাকা, এন-৯৫ (৮১১০এস) ১৮০ টাকা, পিএম-২.৫ মাউথ মাস্ক ১২০ টাকা, সাওমি এয়ারপপ থ্রি-সিক্সটি ডিগ্রি অ্যান্টি ফগ মাস্ক ৩৫০ টাকা, সাওমি স্মার্টলি ফিল্টার মাস্ক ৪৫০ টাকা এবং সাওমি পিএম-২.৫ লাইট ওয়েট মাস্ক বিক্রি হচ্ছে ১৭৫০ টাকা। ক্রমান্বয়ে এসবের দাম আরও বাড়তে পারে ধারণা করছেন ব্যবসায়ীরা।