প্রফেসর ড. মুনতাসীর মামুন তাঁর বক্তব্যে চবি ‘বঙ্গবন্ধু চেয়ার’ পদে তাঁকে নিয়োগ দেয়ায় চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়সহ চট্টগ্রামবাসীর প্রতি আন্তরিক ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে বলেন, ‘এ দায়িত্ব পেয়ে আমি অভিভূত’।
তিনি বলেন, এ পদকে সমুন্নত রাখতে বঙ্গবন্ধু, বাংলাদেশ এবং মুক্তিযুদ্ধ নিয়ে অধিকতর চর্চা ও গবেষণা করতে হবে। তিনি তাঁর বক্তব্যে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে তাঁর দায়িত্বকালীন সময়ে বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে বছরে কমপক্ষে ছয়টি পাবলিক লেকচার আয়োজন করার আশাবাদ ব্যক্ত করেন। এ সকল লেকচারে শিক্ষক-গবেষক এবং শিক্ষার্থী ছাড়াও বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে আগ্রহীরা অংশগ্রহণ করতে পারবেন। বঙ্গবন্ধু, মুক্তিযুদ্ধ ও বাংলাদেশ নিয়ে গবেষণা-প্রকাশনা এবং পরামর্শের ক্ষেত্রে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক-গবেষক এবং শিক্ষার্থীদের জন্য তাঁর দরজা সবসময় খোলা থাকবে মর্মে তিনি অঙ্গীকার ব্যক্ত করেন।
প্রসঙ্গক্রমে ড. মুনতাসীর মামুন বলেন, নীতি-নৈতিকতা ও আদর্শ নিয়ে সামনে এগিয়ে গেলে সফলতা আসবেই; নীতিতে অটল থাকলে সমাজ অবশ্যই প্রতিদান দেবে। এ জন্য তিনি শিক্ষক-গবেষকদের অধিকতর গবেষণায় আত্মনিয়োগ করার আহবান জানান। ড. মুনতাসীর মামুন চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃক তাঁর ওপর অর্পিত দায়িত্ব বিশ্ববিদ্যালয় পরিবারসহ সকলের সহযোগিতায় সুচারুরূপে সম্পাদনের আশাবাদ ব্যক্ত করেন।
উপাচার্য তাঁর বক্তব্যে বলেন, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের জন্য আজকের এ দিনটি ঐতিহাসিক ও আনন্দের। বরেণ্য ইতিহাসবিদ ও মুক্তিযুদ্ধ গবেষক প্রফেসর ড. মুনতাসীর মামুনকে চবি ‘বঙ্গবন্ধু চেয়ার’ পদে নিয়োগ দিয়ে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় গৌরবান্বিত হয়েছে। বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে ড. মুনতাসীর মামুনের গবেষণা চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়কে অধিকতর সমৃদ্ধ করার পাশাপাশি দেশের নতুন প্রজন্ম বঙ্গবন্ধুর জীবন ও কর্ম সম্পর্কে জেনে তাঁর আদর্শ হৃদয়ে ধারণ করে একজন প্রকৃত দেশপ্রেমিক সুনাগরিক হয়ে গড়ে ওঠতে সক্ষম হবে মর্মে উপাচার্য আশাবাদ ব্যক্ত করেন।
সংবর্ধনা সভায় অনলাইনে যুক্ত হয়ে বক্তব্য রাখেন ‘বঙ্গবন্ধু চেয়ার’ নির্বাহী কমিটির বিশেষজ্ঞ সদস্য ও বাংলা একাডেমির মহাপরিবচালক জনাব শামসুজ্জামান খান। তিনি বলেন, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন একজন যোগ্য লোককে ‘বঙ্গন্ধু চেয়ার’ পদে নিয়োগ দিয়েছেন। তিনি আরও বলেন, তাঁর এ নিয়োগের ফলে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে জ্ঞান-গবেষণার ক্ষেত্র আরও সম্প্রসারিত হবে।
চবি রেজিস্ট্রার (ভারপ্রাপ্ত) প্রফেসর এস এম মনিরুল হাসানের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন চবি সিনেট সদস্য প্রফেসর বেনু কুমার দে, সিন্ডিকেট সদস্য প্রফেসর ড. মোহাম্মদ মহীবুল আজিজ, সমাজ বিজ্ঞান অনুষদের ডিন প্রফেসর ড. মুস্তাফিজুর রহমান ছিদ্দিকী, শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক মনজুরুল আলম, সমাজতত্ত্ব বিভাগের অবসরপ্রাপ্ত প্রফেসর ড. গাজী সালেহ উদ্দিন, ফিজিক্যাল এডুকেশন এন্ড স্পোর্টস সাইন্স বিভাগের সভাপতি প্রফেসর ড. মোহাম্মদ আবুল মনছুর, সোহরাওয়ার্দী হলের প্রভোস্ট প্রফেসর মাইনুল হাসান চৌধুরী, প্রক্টর ড. রবিউল হাসান ভূঁইয়া, হাটহাজারী উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান এস এম রাশেদুল আলম, অফিসার সমিতির সাধারণ সম্পাদক হামিদ হাসান নোমানী ও কর্মচারী সমিতির সভাপতি মোঃ আনোয়ার হোসেন। প্রফেসর ড. মুনতাসীর মামুনের সংক্ষিপ্ত জীবনী পাঠ করেন চবি রেজিস্ট্রার (ভারপ্রাপ্ত) প্রফেসর এস এম মনিরুল হাসান।