জানা গেছে, ওই ভিডিও বার্তায় বাংলাদেশের ইতিহাসে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের অবদান ও নেতৃত্বের বলিষ্ঠতার প্রশংসা করবেন তিনি।
একই সঙ্গে বাংলাদেশের অর্থনৈতিক অগ্রযাত্রায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বের ভূয়সী প্রশংসা করবেন ট্রুডো। উন্নয়নে বাংলাদেশকে বিশ্বের রোল মডেলে পরিণত করার ক্ষেত্রে শেখ হাসিনার প্রচেষ্টা, দক্ষতা, নেতৃত্বের প্রশংসা থাকবে ওই বার্তায়।
রাজধানীর বেইলি রোডে ফরেইন সার্ভিস একাডেমিতে সোমবার (১৫ মার্চ) দুপুরে সংবাদ সম্মেলনে পররাষ্ট্রমন্ত্রী আবদুল মোমেন ট্রুডোর ভিডিও বার্তা পাঠানোর বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
ওই ভিডিও বার্তায় বাংলাদেশের সঙ্গে কানাডার বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্কের কথা তুলে ধরবেন কানাডিয়ান প্রধানমন্ত্রী।
স্বাধীনতা যুদ্ধে বাংলাদেশের পক্ষে অবস্থান নেয়া বিশ্ব নেতাদের মধ্যে অন্যতম জাস্টিন ট্রুডোর বাবা পিয়েরে ট্রুডো। স্বাধীন বাংলাদেশকে প্রথম দিকে স্বীকৃতি দেয়া দেশগুলোর মধ্যে অগ্রগণ্য কানাডা। মুক্তিযুদ্ধ পরবর্তী সময়ে পিয়েরে ট্রুডো কমনওয়েলথ ও জাতিসংঘে বাংলাদেশের সদস্য পদ পেতে দৃঢ় সমর্থন দিয়েছিলেন। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সঙ্গে ছিল তার বন্ধুত্বপূর্ণ ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক।
পিয়েরে অ্যালিওট ট্রুডোকে পরবর্তী সময়ে বাংলাদেশও সম্মানিত করেছে। মুক্তিযুদ্ধে বিশেষ অবদানের স্বীকৃতি হিসেবে তাকে মরণোত্তর ‘বাংলাদেশ মুক্তিযুদ্ধ সম্মাননা’ দেয় আওয়ামী লীগ সরকার।
২০১৬ সালের ১৬ সেপ্টেম্বর মন্ট্রিলে হায়াত রিজেন্সি হোটেলে দ্বিপক্ষীয় বৈঠকে কানাডার বর্তমান প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডোর হাতে তার বাবাকে দেয়া সম্মাননা স্মারক তুলে দেন বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
সেই ঐতিহাসিক সম্পর্কের প্রসঙ্গও থাকবে জাস্টিন ট্রুডোর বার্তায়। ভিডিও বার্তায় দুই দেশের বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক আরও দৃঢ় করা এবং এগিয়ে নেয়ার কথাও থাকবে। বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে ব্যক্তিগত সুসম্পর্কের কথাও বলবেন তিনি।