মস্কো গত সপ্তাহে জানায়, নিষিদ্ধ কন্টেন্টের দেওয়া একটা তালিকা অনুযায়ী সেগুলো সরিয়ে নিতে ব্যর্থ হওয়ার পরিপ্রেক্ষিতে সমগ্র রাশিয়াজুড়ে টুইটারের গতি কমিয়ে দেওয়া হয়েছে। সেসময় দেশটির যোগাযোগবিষয়ক নজরদারি সংস্থা রসকমনাদজোর জানিয়েছিল, রাশিয়ার আইন মেনে না চললে টুইটারকে সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ করাসহ সংস্থাটির বিরুদ্ধে আরও ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
সংস্থাটি জানিয়েছে, মোবাইলের মাধ্যমে এবং অন্য উপায়ে যারা এই সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমটি ব্যবহার করছিলেন তাদের বাধাগ্রস্ত করতে টুইটারের গতি কমিয়ে দেওয়া হয়েছে। এই নতুন বিধিনিষেধ সম্পর্কে টুইটার জানিয়েছিল, রাশিয়ার সিদ্ধান্তের কারণে দেশটিতে বাকস্বাধীনতার ওপর নিয়ন্ত্রণ ও এর প্রভাব নিয়ে চিন্তিত তারা। সেসময় মস্কোর দাবি অনুযায়ী, নিজেদের প্লাটফর্মকে অযৌক্তিক ভাবে ব্যবহারের অনুমোদন দেওয়া হবে না বলেও জানিয়েছিল সংস্থাটি।
রাশিয়ার যোগাযোগবিষয়ক নজরদারি সংস্থা রসকমনাদজোর’র ডেপুটি প্রধান ভাদিম সাবোটিন মঙ্গলবার (১৬ মার্চ) জানান, রুশ কর্তৃপক্ষের উদ্বেগকে পাত্তা দিচ্ছে না টুইটার। এরকম ভাবে চলতে থাকলে আগামী এক মাসের মধ্যে রাশিয়ায় টুইটার বন্ধ করে দেওয়া হবে।
রুশ সংবাদসংস্থা ইন্টারফ্যাক্সের তাদের এক প্রতিবেদনে জানায়, ভাদিম সাবোটিন বলেছেন, ‘টুইটার আমাদের (রাশিয়া) অনুরোধ রাখছে না। পরিস্থিতি এভাবেই চলতে থাকলে আদালতের কোনো ধরনের আদেশ ছাড়াই আগামী এক মাসের মধ্যে দেশজুড়ে টুইটার বন্ধ করে দেওয়া হবে।’
অবশ্য রাশিয়ার অনুরোধ বাস্তবায়নের মাধ্যমে টুইটার এখনও এই পরিণতি এড়াতে পারে বলেও মন্তব্য করেন তিনি। এদিকে রুশ কর্তৃপক্ষের সর্বশেষ এই বক্তব্যের ব্যাপারে তাৎক্ষণিকভাবে কোনো মন্তব্য করেনি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম জগতের এই জায়ান্ট প্রতিষ্ঠানটি।