এ দিকে দক্ষিণ কোরিয়া জানিয়েছে, নিহতদের মধ্যে চারজন তাদের দেশের নাগরিক। পুলিশ সূত্রে আরো জানা যায়, এ ঘটনায় ২১ বছর বয়সী এক ব্যক্তিকে গ্রেফতার করা হয়েছে। ধারণা করা হচ্ছে, ওই তিনটি হামলা তিনি করেছেন। তবে কেন বা কী কারণে এ হামলা চালানে হয়েছে তা এখনো পরিষ্কার নয়।
তবে এশিয়ানদের প্রতি আমেরিকানদের বিদ্বেষমূলক অপরাধের ঘটনা সাম্প্রতিক সময়ে অনেক বেড়েছে। এশিয়ান লোকজনের কারণে করোনাভাইরাসের বিস্তার ঘটেছে- এমন একটি ধারণাই এসব বিদ্বেষের পেছনে ভূমিকা রেখেছে বলে মনে করা হয়। এ দিকে গত সপ্তাহে একটি ভাষণে মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন এরকম হামলার নিন্দা জানিয়েছেন।
জানা যায়, একটি স্পা সেন্টারে হামলার পরে রাস্তার অপর পাশে অ্যারোমাথেরাপি স্পা সেন্টারেও হামলা করা হয়। হামলা সম্পর্কে যা জানা যাচ্ছে তা হলো- প্রথম হামলার ঘটনা ঘটেছে চেরোকি কাউন্টির অকওয়ার্থে, স্থানীয় সময় বিকেল ৫টার দিকে।
শেরিফ অফিসের মুখপাত্র ক্যাপ্টেন জে বেকার জানিয়েছেন, ঘটনাস্থলেই দুজনের মৃত্যু হয়েছে আর তিনজনকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে সেখানে আরো দু’জনের মৃত্যু হয়।
পরে তিনি নিশ্চিত করে জানান, হামলার শিকার ব্যক্তিদের মধ্যে দু’জন এশিয়ান নারী রয়েছেন। বাকিদের দু’জন শ্বেতাঙ্গ নারী ও পুরুষ। বাকি একজন হিস্পানিক পুরুষ আহত হয়েছেন।
এর প্রায় এক ঘণ্টারও কম সময়ের মধ্যে স্থানীয় পুলিশ আরেকটি টেলিফোন পায়, উত্তর-পূর্ব আটলান্টার গোল্ড স্পাতে একটি ডাকাতি হচ্ছে। সেখানে যাওয়ার পর পুলিশ কর্মকর্তারা দেখতে পায়, গুলিতে তিনজন নারী নিহত হয়েছেন। রাস্তার অপর পাশের আরেকটি স্পা সেন্টারে হামলার খবর পেয়ে সেখানে আরেকজন নারীর গুলিবিদ্ধ লাশ দেখতে পায় পুলিশ। এই চারজনই এশিয়ান বংশোদ্ভূত নারী বলে পুলিশ জানিয়েছে।
সিসিটিভি ফুটেজ দেখে পরে তদন্তকারীরা একজন ব্যক্তির ছবি প্রকাশ করেন। ওই ব্যক্তিকে হামলার শিকার স্পাগুলোর অন্তত একটি স্পার কাছাকাছি দেখা গেছে।
পুলিশ জানিয়েছে, ছবি প্রকাশের পর জর্জিয়ার উডস্টকের বাসিন্দা রবার্ট অ্যারন লংক নামের ওই ব্যক্তিকে অভিযান চালিয়ে দেড় শ’ মাইল দূরের একটি শহর থেকে গ্রেফতার করা হয়।
ক্যাপ্টেন বেকার বলেছেন, তদন্তকারীরা ‘খুবই নিশ্চিত’ যে সন্দেহভাজন ওই ব্যক্তি তিনটি হামলার সাথে জড়িত। তবে কর্তৃপক্ষ বলছে, জাতীয়তার কারণেই ওই ব্যক্তিদের ওপর হামলা করা হয়েছে কি-না, তদন্তের স্বার্থে তা এখনই বলা যাচ্ছে না।
তবে এ ঘটনার ব্যাপারে এশিয়ান আমেরিকান অ্যান্ড প্যাসিফিক আইল্যান্ডার নামের একটি অ্যাডভোকেসি গ্রুপ বলছে, ‘এটা অবর্ণনীয় দুঃখজনক ঘটনা।’