শনিবার (২০ মার্চ) ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির সাগর-রুনী মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত সেমিনারে এসব সুপারিশ তুলে ধরেছে সংগঠনটি। বিশ্ব পানি দিবস উপলক্ষে জনস্বাস্থ্য ও স্থায়ীত্বশীল উন্নয়নে নিরাপদ পানি নিশ্চিতে চ্যালেঞ্জ শীর্ষক এ সেমিনারের আয়োজন করা হয়।
সুপারিশগুলো হলো—
১. ড্রেজিং করে নদীর নাব্যতা বাড়ানো এবং অভিন্ন নদীর পানির ন্যায্য হিস্যা প্রাপ্তির লক্ষ্যে কার্যকর পদক্ষেপ নেওয়া।
২. খরা মৌসুমে সেচ ও রাসায়নিক সার নির্ভর ধান চাষের পরিবর্তে প্রকৃতি নির্ভর ধান চাষের উদ্যোগ নেওয়া।
৩. অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করে নদীর জায়গা ফিরিয়ে দেওয়া এবং অবৈধ দখলদারীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দেওয়া। সি এস দাগ ধরে নদীর সীমানা নির্ধারণ করা এবং নতুন করে কোনো স্থাপনা যাতে গড়ে না ওঠে সেদিকে লক্ষ্য রাখা।
৪.অপরিশোধিত শিল্পকারখানায় বর্জ্য ও পয়ঃবর্জ্য, নৌযানের বর্জ্য, কঠিন বর্জ্য নদীতে ফেলা বন্ধ করা।
৫. ঢাকার আশেপাশের নদীসহ সব নদী ও জলাশয় দখল, ভরাট ও দূষণ রোধকল্পে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া।
৬. নদী দূষণমুক্ত করা। নদীর পানি কৃষি ও শিল্পে এবং পরিশোধন করে খাবার পানি হিসেবে ব্যবহার করা।
৭. নদীর প্রবাহ ও নাব্যতা যথাযথ রাখার লক্ষ্যে নদীতে পিলারসমৃদ্ধ সেতুর পরিবর্তে ঝুলন্ত সেতু বা টানেল নির্মাণ করা।
৮. নিরাপদ পানি নিশ্চিতে সংশ্লিষ্ট আইনসমূহ কঠোরভাবে প্রয়োগ করা।
এছাড়া বক্তারা বলেন, নদী ড্রেজিং খুবই ব্যয়বহুল। স্নাতক পর্যায় থেকে উচ্চ শিক্ষায় অধ্যয়নরত ২২ লাখ শিক্ষার্থীকে কাজে লাগানো যেতে পারে। শিক্ষার্থীদের উদ্বুদ্ধ করে স্বেচ্ছাশ্রম ভিত্তিতে এবং কাজের বিনিময়ে খাদ্যের সাহায্যে এ কার্যক্রম হাতে নেওয়া যেতে পারে। এতে যুব সমাজের মধ্যে মানসিক ও সামাজিক মূল্যবোধ এবং দেশ প্রেম জাগ্রত হবে।