দুর্বল কোম্পানি হলো- যে কোম্পানি ‘জেড’ ক্যাটাগরিতে অবস্থিত, উদ্যোক্তা ও পরিচালকেরা সম্মিলিতভাবে ৩০ শতাংশ শেয়ার ধারণে ব্যর্থ, সঠিকভাবে ব্যবসা পরিচালনা করছে না এবং ৩ বছরের বেশি লভ্যাংশ দেয় না এমন কোম্পানিগুলো।
মঙ্গলবার (২৩ মার্চ) জারি করা এ সংক্রান্ত নির্দেশনা জারি করা হয়। সেখানে বলা হয়, এ ধরনের কোম্পানির জন্য স্বতন্ত্র পরিচালকরা ঋণ খেলাপি হবেন না।
সেখানে বলা হয়, এ জাতীয় কোম্পানিতে পর্ষদ ৩ সদস্যের সাব কমিটি গঠন করবে। এরমধ্যে কমপক্ষে একজন স্বতন্ত্র পরিচালক থাকবে। কোম্পানিগুলোর পর্ষদ বছরে কমপক্ষে ৪টি সভা করবে।
তবে মাসে কোনোভাবেই ৪টির বেশি সভা করা যাবে না। আর প্রথম চার মাস ৪টির বেশি সভা করা যাবে। কিন্তু পর্ষদ পুনর্গঠনের প্রথম দুই মাসে ৮টির বেশি এবং পরবর্তী দুই মাসে ৬টির বেশি করা যাবে না।
এদিকে সাব কমিটিও বছরে কমপক্ষে ৪টি সভা করবে। তবে মাসে একটির বেশি করতে পারবে না। কিন্তু পর্ষদ পুনর্গঠনের প্রথম দুই মাস সর্বোচ্চ ২টি সভা করা যাবে।
পরিচালনা পর্ষদ ও সাব কমিটির সব পরিচালক সভার জন্য সম্মানী পাবেন বলে বিএসইসির নির্দেশনায় বলা হয়েছে। প্রতিটি সভার জন্য সম্মানী ফি সর্বোচ্চ ৮ হাজার টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে।
এসব কোম্পানির উন্নতি ও কমপ্লায়েন্স প্রতিপালনের বিস্তারিত তথ্য মাস শেষ হওয়ার ১০ দিনের মধ্যে স্বতন্ত্র পরিচালকদের কমিশনে দাখিল করতে হবে।