উল্লেখ্য, প্রায় দুই যুগ আগে এই দিনে বাংলাদেশি টেক-জায়ান্ট ওয়ালটনের পথচলা শুরু। ১৯৭৭ সালে ওয়ালটন গ্রুপের প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান এস এম নজরুল ইসলাম ব্যবসা শুরু করেন। পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে বিভিন্ন সময়ে ব্যবসা সম্প্রসারণের পর ১৯৯৭ সালে ইলেকট্রনিক্স ব্যবসায় যুক্ত হয় ওয়ালটন। বাংলাদেশে তৈরি উচ্চমানের ইলেকট্রনিক্স ও প্রযুক্তিপণ্য দিয়ে খুব দ্রুতই ওয়ালটন ক্রেতাদের মন জয় করে নেয়। বাংলাদেশসহ বিশ্বের অন্যতম জনপ্রিয় ও বিশ্বস্ত ব্র্যান্ড হয়ে ওঠে ওয়ালটন।
ওয়ালটন ডে উপলক্ষে সারা দেশ যেন উৎসবে মেতেছিলো। দেশ-বিদেশের সব ওয়ালটন অফিসসহ দেশের ৪০০টি প্লাজা এবং ১৭ হাজারেরও বেশি আউটলেটে দিনব্যাপী ছিলো নানা আয়োজন।
কর্মসূচির মধ্যে ছিলো জাতীয় পতাকা এবং ওয়ালটন পতাকা উত্তোলন, মুক্তিযোদ্ধা সম্মাননা প্রদান, বেলুন উড্ডয়ন, আনন্দ র্যালি, কেক কাটা, মিষ্টি, মাস্ক, হ্যান্ড সেনিটাইজার বিতরণ, বৃক্ষরোপণ, চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতা, সুবিধাবঞ্চিত মানুষের মাঝে খাবার বিতরণ ইত্যাদি।
২০ মার্চ সকালে রাজধানীর বসুন্ধরায় করপোরেট অফিসে জাতীয় পতাকা এবং ওয়ালটন পতাকা উত্তোলনের মধ্য দিয়ে শুরু হয় দিনের কর্মসূচি। ওয়ালটন ডে অনুষ্ঠানের উদ্বোধন করেন ওয়ালটন হাই-টেক ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেডের চেয়ারম্যান এস এম নূরুল আলম রেজভী। তিনি দেশ বিদেশের সব শুভাকাঙ্ক্ষী, ক্রেতা এবং ওয়ালটন পরিবারের সদস্যদের শুভেচ্ছা জানান।
করপোরেট অফিসে ২১ ফুট লম্বা বিশালাকার কেক কাটেন ওয়ালটন হাই-টেক ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেডের ম্যানেজিং ডিরেক্টর প্রকৌশলী গোলাম মুর্শেদ। একইসাথে বেলুন এবং শান্তির প্রতীক শ্বেত কপোত উড়ানো হয়। সে সময় ওয়ালটন ডিজিটাল ক্যাম্পেইন সিজন-১০ ঘোষণা করে কর্তৃপক্ষ। এতে ফ্রিজ, টিভি, এসি, ওয়াশিং মেশিন এবং সিলিং ফ্যান ক্রেতাদের জন্য নগদ লাখ লাখ টাকা, ফ্রি পণ্যসহ কোটি কোটি টাকার নিশ্চিত ক্যাশ ভাউচার ঘোষণা করে ওয়ালটন।
রাজধানীর সেই উৎসবের ঢেউ ছড়িয়ে পড়ে সারা দেশে। বর্ণাঢ্য সব আয়োজনে উদযাপিত হয় ওয়ালটন ডে।
এদিকে, ওয়ালটন ডে উপলক্ষে শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানিয়েছে দেশের তারকা খেলোয়াড়রা। তাদের মধ্যে অন্যতম জাতীয় ক্রিকেট দলের সাবেক অধিনায়ক খালেদ মাহমুদ সুজন, সাবেক ক্রিকেটার ও আন্তর্জাতিক ধারাভাষ্যকর আতাহার আলী খান, নির্বাচক হাবিবুল বাশার সুমন, সাবেক উইকেটরক্ষক খালেদ মাসুদ পাইলট, জাতীয় ক্রিকেটার ও সাংসদ মাশরাফী বিন মুর্তজা, জাতীয় ক্রিকেটার মেহেদী হাসান মিরাজ, মোস্তাফিজুর রহমানসহ অনেকেই।
এছাড়াও, শুভেচ্ছাবার্তা পাঠিয়েছেন বিশ্বের বিভিন্ন দেশে ওয়ালটন পণ্যের পরিবেশক ও ব্যবসায়িক পার্টনাররা।