বুধবার (২৪ মার্চ) সকাল ১১টায় তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি (আইসিটি) বিভাগ আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানানো হয়।
করোনা পরিস্থিতিতে এবারের আয়োজনে শুধু সেমিনার এবং উদ্বোধনী ও সমাপনী আয়োজন ভৌত কাঠামোতে অনুষ্ঠিত হবে।
সংবাদ সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে আইসিটি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক বলেন, এই এক্সপো এমন একটি আয়োজন যার মাধ্যমে আমরা নতুন নতুন সম্ভাবনা উন্মোচন করতে চাই। সবাইকে নিয়ে শ্রম নির্ভর দেশ থেকে মেধা ও প্রযুক্তি নির্ভর দেশ হতে চাই। এই আয়োজনের মাধ্যমে আমরা দেশীয় উদ্যোক্তা, উদ্ভাবকদের একত্রিত করতে চাই। এই আয়োজনে পলিসি মেকারদের সঙ্গে স্টোক হোল্ডারদের সেমিনার থাকবে। দেশীয় উদ্যোক্তাদের দেশি-বিদেশি উদ্ভাবক ও বিনিয়োগকারীদের কাছে তুলে ধরতে চাই।
দেশে প্রযুক্তি পণ্য তৈরি হলে দেশেই তার বিশাল বাজার রয়েছে উল্লেখ করে আইসিটি প্রতিমন্ত্রী বলেন, দেশেই প্রতিবছর ১২ লাখ ল্যাপটপ কম্পিউটার, ২৫ লাখ টিভি, ৩০ লাখ ফ্রিজ এবং চার কোটির মতো ফিচার ও স্মার্টফোনের চাহিদা রয়েছে। এসব ডিভাইস যদি দেশেই উৎপাদন করা যায় তাহলে প্রচুর বৈদেশিক মুদ্রা সাশ্রয় সম্ভব। পাশাপাশি বিশ্বের অনেক দেশ স্বল্প ব্যয়ে আমাদের থেকে পণ্য বানিয়ে নিতে পারে।
বাংলাদেশ কম্পিউটার সমিতির (বিসিসি) সভাপতি শাহিদ উল মুনির বলেন, এবারের এক্সপোতে দুই শতাধিক এক্সিবিটর অংশ নেবেন। অন্তত ৪০টি নতুন ইনোভেশন তুলে ধরা হবে। ১০টি সেমিনার আয়োজিত হবে। ১২টি ইনোভেশন অ্যাওয়ার্ড দেওয়া হবে।
আয়োজনটির উদ্বোধনী অনুষ্ঠান রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ প্রধান অতিথি হিসেবে উদ্বোধন করবেন বলে জানানো হয়।
সংবাদ সম্মেলনে বাংলাদেশ হইটেক পার্ক কর্তৃপক্ষের ব্যবস্থাপনা পরিচালক হোসনে আরা বেগম, বাংলাদেশ স্টার্টআপ কোম্পানি লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক টিনা এফ জাবিন সহ অন্যান্যরা বক্তব্য রাখেন।