ব্যক্তিমালিকানাধীন গিলি বর্তমানে চীনের অন্যতম বৃহৎ গাড়ি নির্মাতা কোম্পানি। কয়েক বছর আগে গিলি কিনে নিয়েছিল সুইডেনের বিখ্যাত ভলভো কারস ব্র্যান্ডটি। গিলির গাড়ির ব্র্যান্ডের তালিকায় রয়েছে গিলি, লিংক অ্যান্ড কো, জিওমেট্রি ও পোলস্টার—সব কটিই বিদ্যুৎ–চালিত। এ ছাড়া মালয়েশিয়ার প্রোটন ও যুক্তরাজ্যের গাড়ি প্রস্তুতকারী কোম্পানি লোটাসের বৃহত্তম শেয়ারহোল্ডার হচ্ছে গিলি। লোটাসের ৫১ শতাংশ মালিকানা আছে গিলির। এ ছাড়া প্রোটনের প্রায় ৫০ শতাংশ মালিকানা রয়েছে।
বৈদ্যুতিক গাড়ির সবচেয়ে বড় বাজার চীনে। বৈশ্বিক বিক্রির প্রায় অর্ধেকই হয় এখানে। এ জন্য স্থানীয় ও বৈশ্বিক কোম্পানিগুলো শুরু থেকেই বৈদ্যুতিক গাড়ি নির্মাণে চীনের বাজারের দিকে নজর রেখেছে। করোনা মহামারির এই সময়ে বৈদ্যুতিক গাড়ির চাহিদা বেড়েছে ব্যাপক। অনেক গাড়ি কোম্পানি কার্বন নিরপেক্ষতা অর্জনের লক্ষ্যমাত্রা পূরণে জোর প্রয়াস চালাচ্ছে। ফলে, বৈদ্যুতিক গাড়ি তৈরিতে বিনিয়োগ বাড়াচ্ছে প্রায় সব গাড়ি নির্মাতা কোম্পানিই। গিলিরও লক্ষ্য এই চীনের বাজার হাতের মুঠোয় রাখা। সম্প্রতি কার্বন ডাই-অক্সাইডের নিঃসরণ কমাতে অভিনব প্রযুক্তি তৈরি করতে আহ্বান জানান টেসলা ও স্পেসএক্সের প্রতিষ্ঠাতা ইলন মাস্ক। সেই আহ্বানেই যেন সাড়া দিল গিলি। বিবিসি অনলাইনের এক প্রতিবেদনে এ তথ্য উঠে আসে।
গিলি পক্ষ থেকে জানানো হয়, নতুন এই প্রিমিয়াম গাড়ি ব্র্যান্ডের নাম জিকর। উচ্চ ক্ষমতাসম্পন্ন বৈদ্যুতিক গাড়ি হবে এটি। ২০২১ সালের তৃতীয় প্রান্তিক থেকে সরবরাহ করা শুরু হবে।
চীন চায়, ২০২৫ সালের মধ্যে তাদের রাস্তায় চলা এক–পঞ্চমাংশ গাড়ি বৈদ্যুতিক হবে। জিকর মূলত টেসলার মডেল ৩–এর সঙ্গে তীব্র প্রতিযোগিতা করবে। গত বছর চীনে সবচেয়ে বেশি বিক্রি হয়েছে টেসলার ওই মডেলের গাড়ি।
গতকাল গিলি জানায়, ২০২০ সালে কোম্পানিটি ১৩ লাখ ২০ হাজার গাড়ি বিক্রি করে। এর আগের বছর যা ছিল ১৩ লাখ ৬০ হাজার। চীনের রাষ্ট্রীয় টেলিভিশনকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে ইলন মাস্ক বলেন, তিনি দেশের সর্বশেষ পাঁচ বছরের অর্থনৈতিক পরিকল্পনায় নির্ধারিত কার্বন নিঃসরণ কমানোর লক্ষ্য দেখে মুগ্ধ হয়েছেন।