জানা গেছে, শুক্রবার সকালে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করলে বাংলাদেশ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নরেন্দ্র মোদিকে স্বাগত জানাবেন। বিমানবন্দরে তাকে লাল গালিচা সংবর্ধনা দেওয়া হবে। বিমানবন্দরের আনুষ্ঠানিকতার পর, তিনি সাভার জাতীয় স্মৃতিসৌধে পুষ্পস্তবক অর্পণ করে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের বীর শহীদদের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জানাবেন। এরপর, তিনি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে ধানমন্ডি ৩২ নম্বরে বঙ্গবন্ধু স্মৃতি জাদুঘরে যাবেন।
বিকেলে, পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেন হোটেল শেরাটনে ভারতের প্রধানমন্ত্রীর সাথে সাক্ষাৎ করবেন। পরে, ভারতের প্রধানমন্ত্রী ২৬ মার্চ বিকালে জাতীয় প্যারেড স্কয়ারে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী এবং বাংলাদেশের স্বাধীনতার সুবর্ণ জয়ন্তী উদযাপন অনুষ্ঠানমালার দশম দিনের অনুষ্ঠানে গেস্ট অব অনার হিসেবে যোগ দেবেন।
রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এতে সভাপতিত্ব করবেন। সন্ধ্যায় ভারতের প্রধানমন্ত্রী বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সাথে যৌথভাবে উদ্বোধন করবেন 'বঙ্গবন্ধু-বাপু যাদুঘর'। সেখানে মোদি তার সম্মানে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আয়োজিত রাষ্ট্রীয় ভোজসভায় যোগ দেবেন।
সফরের দ্বিতীয় দিন, ২৭ মার্চ সকালে নরেন্দ্র মোদি গোপালগঞ্জের টুঙ্গীপাড়ায় জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সমাধিসৌধ পরিদর্শন এবং পুষ্পস্তবক অর্পণ করে বঙ্গবন্ধুর প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করবেন। তিনি সাতক্ষীরার শ্যামনগরের ঈশ্বরিপুরে অবস্থিত যশোরেশ্বরী দেবী মন্দির পরিদর্শন এবং গোপালগঞ্জের কাশিয়ানি উপজেলায় ওরাকান্দি মন্দির পরিদর্শন করবেন।
বিকেলে, মোদি প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে দ্বিপক্ষীয় বৈঠকে অংশগ্রহণ করবেন। এ সময় দুই দেশের প্রধানমন্ত্রীর উপস্থিতিতে বিভিন্ন সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষর অনুষ্ঠানের পাশাপাশি ভার্চুয়ালি যৌথভাবে বিভিন্ন প্রকল্প উদ্বোধনের কথা রয়েছে। পরে, বঙ্গভবনে রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদের সাথে সাক্ষাৎ করবেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী। নরেন্দ্র মোদি ২৭ মার্চ সন্ধ্যায় নয়াদিল্লির উদ্দেশে ঢাকা ত্যাগ করবেন।