বৃহস্পতিবার (২৫ মার্চ) রাজধানীতে এক অনুষ্ঠানে অংশ নেয়ার পর পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আবদুল মোমেন সাংবাদিকদের এ তথ্য দেন।
তিনি বলেন, ‘সমঝোতা স্মারকের সংখ্যা কম-বেশি হতে পারে, তবে পাঁচটির বেশি স্মারক স্বাক্ষর হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।’
সফর সূচি অনুযায়ী, শনিবার বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির মধ্যে দ্বিপক্ষীয় বৈঠক হবে। এতে স্বাক্ষর হতে যাওয়া সমঝোতা স্মারকের ব্যাপারে ঢাকা ও নয়াদিল্লি এখনো আলোচনার পর্যায়ে রয়েছে।
জানা গেছে, ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি আজ সকালে ঢাকার হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে (এইচএসআইএ) পৌঁছালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তাকে স্বাগত জানাবেন। বিমানবন্দরে আনুষ্ঠানিকতার পরে মোদির পুষ্পস্তবক অর্পণের মাধ্যমে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের বীর শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে সরাসরি সাভারের জাতীয় স্মৃতিসৌধে যাওয়ার কথা রয়েছে। এর অল্প সময় পর তিনি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে শ্রদ্ধা জানাতে ধানমন্ডি-৩২-এ বঙ্গবন্ধু স্মৃতি জাদুঘর পরিদর্শন করবেন।
বিকেলে পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আবদুল মোমেন হোটেল সোনারগাঁওয়ে ভারতীয় প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাৎ করবেন। পরে ভারতের প্রধানমন্ত্রী সম্মানিত অতিথি হিসেবে জাতীয় প্যারেড স্কয়ারে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী ও বাংলাদেশের স্বাধীনতা দিবসের সুবর্ণজয়ন্তী উদযাপন অনুষ্ঠানে যোগ দেবেন। রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এতে সভাপতিত্ব করবেন।
সন্ধ্যায় বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে নরেন্দ্র মোদির যৌথভাবে ‘বঙ্গবন্ধু-বাপু জাদুঘর’ উদ্বোধন করার কথা রয়েছে। তিনি তার সম্মানে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দেয়া এক রাষ্ট্রীয় ভোজসভায় অংশ নেবেন।
শনিবার সফরের দ্বিতীয় দিন সকালে নরেন্দ্র মোদি বঙ্গবন্ধুকে শ্রদ্ধা জানাতে গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়ায় জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সমাধিতে শ্রদ্ধা জানাবেন। তার গোপালগঞ্জের কাশিয়ানী উপজেলার ওরাকান্দি মন্দির এবং সাতক্ষীরা জেলার শ্যামনগরের ঈশ্বরীপুরে যশোরেশ্বরী দেবী মন্দির পরিদর্শন করার কথা রয়েছে।
বিকেলে তিনি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে দ্বিপক্ষীয় বৈঠক করবেন। এ সময় দু’দেশের প্রধানমন্ত্রীর উপস্থিতিতে বিভিন্ন সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরিত হবে এবং ভার্চুয়ালি বেশ কয়েকটি প্রকল্পের উদ্বোধন করা হবে।
পরে ভারতীয় প্রধানমন্ত্রী বঙ্গভবনে রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদের সঙ্গে সাক্ষাৎ করবেন। নরেন্দ্র মোদি ২৭ মার্চ সন্ধ্যায় নয়াদিল্লির উদ্দেশে ঢাকা ত্যাগ করবেন।